বাদাম কাকুর দিন শেষ, ৮৩ বছর বয়সে এখন কাঁপাচ্ছেন কাঠি ভাজা দাদু

Shyamali Das

Updated on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের অন্তর্গত লক্ষ্মীনারায়নপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুড়ালজুড়ি গ্রামের ভুবন বাদ্যকর সোশ্যাল মিডিয়ায় একচ্ছত্ররাজ তৈরি করেছিলেন তার কাঁচা বাদাম গানের দৌলতে। তবে তার সেই গান এখন বাসি হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার দর্শকদের কাছে। কাঁচা বাদাম গানটি বাসি হয়ে গেলেও তিনি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নানান গান আনার চেষ্টা করেন। তবে তাহলেও তার দিন এখন শেষ বলেই মনে করছেন দর্শকরা। আর তার যখন দিন শেষের দিকে সেই সময় ৮৩ বছর বয়সে সোশ্যাল মিডিয়া কাঁপাতে শুরু করলেন হুগলির এক বৃদ্ধ।

Advertisements

৮৩ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধের নাম গৌড় কোলে। যদিও স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে চেনেন শ্যামলীর কাঠি ভাজা হিসাবে। এই বৃদ্ধ বয়সেও ওই মানুষটি নিজে রোজগার করে দিন গুজরান। কারোর কাছে কোনদিন হাত পাতেন না। এমনকি এই বয়সেও রোজগারের জন্য তিনি গ্রামে গ্রামে সাইকেল করে ফেরি করে বেড়ান।

Advertisements

প্রতিদিন সকাল হলেই গৌড় কাকু সাইকেলকে সঙ্গে করে কাঠি ভাজা বিক্রির জন্য বেরিয়ে পড়েন। তার কাঠি ভাজা বিক্রির সঙ্গে সঙ্গে আকর্ষণীয় জিনিস হল তার গান। ভেঁপু বাঁশি বাজিয়ে ছড়া কেটে কেটে তিনি গান করেন এবং বিক্রি করেন কাঠি ভাজা। তার কাছে যেমন কাঠি ভাজা কিনতে মানুষ ভিড় জমান সেই রকমই তার এই ছড়া কেটে কেটে গান শুনতেও ভিড় জমাতে দেখা যায়।

Advertisements

কাঠি ভাজা বিক্রি করা ওই বৃদ্ধের বাড়ি হুগলি জেলার সিঙ্গুরের কুমির মারা থইপাড়া অঞ্চলে। তার আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত সংকট। আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ যে পায়ে ঠিকমতো জুতো চটি জোটে না। তবে তাতেও তার কোন খেদ নেই। বরং তিনি এই ভাবেই কাঠি ভাজা বিক্রি করে আনন্দ পান এবং লোকেদের আনন্দ দিতে ভালোবাসেন।

গৌড় কোলে দীর্ঘ ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে এই ভাবেই কাঠি ভাজা বিক্রি করছেন বলে জানিয়েছেন। তবে তিনি শুধু কাঠি ভাজা বিক্রি করেন এমন নয়। সিজন অনুযায়ী অর্থাৎ শীতকাল শুরু হলে কাঠি ভাজা আর গ্রীষ্মকাল এলেই তিনি আইসক্রিম বিক্রি করেন।

Advertisements