যারা বেড়াতে যেতে ভালবাসেন তারা সারা বছরই কোথাও না কোথাও যাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন। তবে সেইসঙ্গে অর্থনীতির ব্যাপারটাও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। ইচ্ছে করলেই তো বিদেশ যাওয়া সম্ভব হয় না। তবে আমাদের দেশেও এমন অনেক জায়গা আছে যার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিদেশের তুলনায় কোন অংশে কম নয়। যে জায়গাগুলোই বেড়াতে গেলে সাধ্যের মধ্যে সাধ পূরণ নিশ্চয় হবে। কাশ্মীরকে বলা হয় ভূস্বর্গ। তাই সুইজারল্যান্ড না যেতে পারলেও কাশ্মীরে অবশ্যই যেতে পারেন। সেখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখে মুগ্ধ হতে পারেন। সেখানে হ্রদ, সবুজ তৃণভূমি, বরফে ঢাকা পর্বত, নানা রকম ফুল মানুষের মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এক একটি ঋতুতে এক এক রকম রূপ হয় কাশ্মীরের। যা হার মানাবে সুইজারল্যান্ডকেও।
হিমাচল প্রদেশে বারোট নামের একটি উপত্যকা আছে। যার সৌন্দর্যকে স্বর্গীয় বললে কোন ভুল হবে না। এই জায়গাটিকেও তার অপার সৌন্দর্যের জন্য সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে তুলনা করা হয়ে থাকে। যারা উপত্যকা ভালোবাসেন তারা এখানে একবার ঘুরেই আসতে পারেন। এখানে পর্যটকরা ট্রেকিং করতে পারেন, মাছ ধরতে পারেন, ক্যাম্পিং, র্যাপেলিংও উপভোগ করতে পারেন। তাই একখণ্ড সুইজারল্যান্ডের দেখতে একবার চলে যেতে পারেন এই বারোট ভ্যালিতে।
হিমাচল প্রদেশের আরেকটি ভীষণ সুন্দর শৈল শহর হল খাজ্জিয়ার। এখানে গেলে দেখতে পাবেন খাজ্জিয়ার হ্রদ, খাজ্জি নাগ মন্দির। যেটি প্রায় ৮০০ বছরের পুরনো মন্দির। ট্রেকিংও করতে পারেন এখানে, পায়ে হেঁটে বা গাড়িতে চড়ে অনায়াসে ঘুরে দেখতে পারেন এখানকার মনোরম পরিবেশ। এখান থেকে কৈলাস পর্বত দেখা যায় ভীষণ স্পষ্ট। তুষারপাতের সময় খাজ্জিয়ারের সৌন্দর্য হার মানায় সুইজারল্যান্ডের সৌন্দর্য্যকেও।
ভারতবর্ষের উত্তরাখণ্ডের এমন অনেক জায়গা আছে যেগুলির সৌন্দর্য অনির্বচনীয়। ভারতের উত্তরাখণ্ডের চামেলী জেলায় অবস্থিত একটি সুন্দর পাহাড়ি গ্রাম আছে। যার নাম আউলি। ভারতের সবথেকে শীর্ষস্থানীয় স্কিইং গন্তব্যগুলির মধ্যে একটি হলো এই আউলি গ্রাম। খাঁড়া পাহাড়, নির্মল বাতাস ও শীতকালে বরফ দেখার শ্রেষ্ঠ জায়গা এটি। দেখে মনে হয় ঠিক যেন এক চিলতে সুইজারল্যান্ড নেমে এসেছে এখানে।
উত্তরাখণ্ডের আরেকটি ভীষণ সুন্দর জায়গার নাম কৌশানী, যেটাকে মিনি সুইজারল্যান্ডও বলা হয়। উত্তরাখণ্ডের বাগেশ্বর জেলায় অবস্থিত এই ছোট্ট গ্রামটি নন্দা দেবী, পাঁচচুলা এবং হিমালয় পর্বতের জন্য বিশেষ বিখ্যাত। এক সময় স্বয়ং মহাত্মা গান্ধী এই জায়গাটিকে সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য চোখে লেগে থাকার মত। জীবনের যেকোনো সময়কে চিরস্মরণীয় করে তুলতে একবার কৌশানি থেকে ঘুরে আসতে পারেন।