নিজস্ব প্রতিবেদন : শুক্রবার বাংলার প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের উদ্বোধন হয়ে গেল। নতুন এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন নিয়ে প্রতিটি মানুষের মধ্যে রয়েছে আলাদা উৎসাহ এবং কৌতূহল। নতুন এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের উদ্বোধন হওয়ার ফলে এখন আট ঘন্টার কম সময়ে হাওড়া থেকে পৌঁছে যাওয়া যাবে নিউ জলপাইগুড়ি।
সম্পূর্ণ নতুন প্রযুক্তির প্রিমিয়াম এই ট্রেনে এমন সব সুবিধা রয়েছে যা বহু মানুষের কাছে অকল্পনীয়। ট্রেনের মধ্যেই স্টেশন এবং অন্যান্য তথ্য প্রদানের জন্য রয়েছে এলইডি স্ক্রিন, চার্জিং থেকে শুরু করে ওয়াইফাই, এক্সিকিউটিভ কোচে নিজের ইচ্ছেমতো আসন ঘোরাতে পারবেন যাত্রীরা, ট্রেনের ভিতর থেকেই বড় বড় কাঁচের জানলা দিয়ে বাইরের বিভিন্ন জায়গা দর্শন করা যাবে, নিচে থেকেই খুলবে গেট এবং বন্ধ হবে। ট্রেনের প্রতিটি গেট বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ট্রেন চলবে না।
এই সকল সুবিধা সম্পর্কে ইতিমধ্যেই বহু মানুষ জেনে গিয়েছেন। তবে এসব ছাড়াও বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনে রয়েছে রিজেনেরিটিভ ব্রেকিং সিস্টেম। এই প্রযুক্তি সম্পর্কে অনেকের অজানা। ইলেকট্রিক গাড়িতে এই ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহারের চল রয়েছে। এই প্রযুক্তির মধ্য দিয়ে মোটরের সাহায্যে ব্রেক করার সময় যে কাইনেটিক শক্তির ক্ষয় হয় তা বিশেষ পদ্ধতিতে বিদ্যুতে রূপান্তরিত করা হয়।
এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে দিনে ৩০% বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। এর পাশাপাশি এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে আরও ভালো অ্যাকসিলারেশন পাবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। আরও ভালো আলো তৈরি হবে এই প্রযুক্তির ফলে। পাশাপাশি এই ট্রেনে আরও এক এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে যাতে যাত্রীদের সমস্যায় পড়লে চেন টানার প্রয়োজন নেই।
বন্দে ভারতের সেই প্রযুক্তি হলো টকব্যাক। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করার ফলে যাত্রীদের সমস্যা হলে ট্রেন থামানোর প্রয়োজন পড়বে না চেন টেনে। পরিবর্তে টকব্যাক বটন টিপে তারা সরাসরি কথা বলতে পারবেন চালকের সঙ্গে। চালককে সমস্যার কথা বলা হলে তিনি তৎক্ষণাৎ প্রয়োজন মত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।