নিজস্ব প্রতিবেদন : বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন নিয়ে প্রতিটি মানুষের মধ্যেই রয়েছে আলাদা উৎসাহ উদ্দীপনা। দেশীয় প্রযুক্তির বিদেশি ছোঁয়ার এই ট্রেন সংখ্যা মাত্র সাতটি হওয়ার কারণে এত উৎসাহ। তবে ২০২৩ সালের ১৫ আগস্টের মধ্যেই এই সংখ্যাটা পৌঁছে যাবে ১০ গুন অর্থাৎ ৭৫ এ।
দেশের সপ্তম এবং পশ্চিমবঙ্গের প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস গত ৩০ ডিসেম্বর উদ্বোধন হওয়ার পর ১ জানুয়ারি থেকে বাণিজ্যিকভাবে পথচলা শুরু করল। ইতিমধ্যেই এই ট্রেনটিতে সফল করতে হলে সঠিক সময়ে বুকিং না করলে টিকিট পাওয়া মুশকিল। নতুন এই ট্রেনকে নিয়ে যখন মানুষের মধ্যে এত উৎসাহ সেই সময় জানা যাচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি আরও একটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস আসতে চলেছে বাংলায়।
নতুন যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস আসতে চলেছে সেই ট্রেনটি ছুটবে হাওড়া থেকে রাঁচি পর্যন্ত। এই ট্রেনটি পুরুলিয়া, আনারা, মুরি হয়ে গন্তব্যের দিকে যাবে এবং পুরুলিয়া স্টেশনে স্টপেজ দেবে। এমনই দাবি করেছেন পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। পুরুলিয়ার উপর দিয়ে ট্রেনটি যাওয়া এবং পুরুলিয়া স্টেশনে স্টপেজ দেওয়ার বিষয়ে রেলমন্ত্রী তাকে আশ্বাস দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন তিনি।
শুধু আশ্বাস নয়, সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো জানিয়েছেন, হাওড়া নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস উদ্বোধনের দিন রেলমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে তিনি এই বিষয়ে নিশ্চয়তা পেয়েছেন। হাওড়া থেকে রাঁচি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন আগেই জানা গিয়েছিল পুরুলিয়া হয়ে যাতায়াত করবে। কিন্তু পরে আবার রুট পরিবর্তন করে দুর্গাপুর, আসানসোল, ধানবাদ, বোকারো, মুরি হয়ে রাঁচি পৌঁছবে এমনই শোনা যাচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো রেলমন্ত্রীকে চিঠি দেন।
জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো জানিয়েছেন, “শুক্রবার হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী। তাঁকে পুরুলিয়ার পক্ষ থেকে রেলের বিভিন্ন দাবি নিয়ে চিঠি দিই। বন্দে ভারত নিয়েও আলাদা চিঠি দিয়েছি। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের রুট নিয়ে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করি। রেলমন্ত্রী আমাকে আশ্বাস দিয়ে জানিয়েছেন, এই ট্রেন পুরুলিয়া দিয়েই চালানো হবে।”