নিজস্ব প্রতিবেদন : সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ করার জন্য রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করছে। এই সকল কর্মসূচির মধ্যে এবার শুরু হচ্ছে ‘দিদির সুরক্ষা কবজ’। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্লোগান ছিল ‘ম্যায় আপকা চৌকিদার হুঁ’। ঠিক অনেকটাই একই রকম ধরা যেতে পারে তৃণমূলের এই নতুন কর্মসূচি।
২০১১ সালে রাজ্যে তৃণমূল সরকার আসার পর একের পর এক প্রকল্প আনা হয়েছে যেগুলি রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্য জনহিতকর প্রকল্প বলে ধরা হয়ে থাকে। সেই সকল কম করে ১৬ টি প্রকল্পকে একত্রিত করে নতুন মোড়কে প্রচার চালানোর জন্যই এমন নতুন কর্মসূচি বলে মনে করা হচ্ছে। তবে শুধু প্রচার নয়, এর পাশাপাশি নতুন এই কর্মসূচি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে অনেকেই উপকৃত হবেন।
আসলে এই নতুন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ তৃণমূল কর্মী এবং ভলেন্টিয়ার মাঠে নামবেন। সেই সকল তৃণমূল কর্মী এবং ভলেন্টিয়াররা খোঁজ নেবেন কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্য সাথী, শিক্ষাশ্রী, স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড থেকে শুরু করে খাদ্য সাথী, সবুজ সাথীর মতো প্রকল্পগুলি মানুষের কাছে পৌঁছেছে কিনা, না পৌঁছলে কেন হয়নি এই সব কিছুর হালহকিকত।
নতুন এই কর্মসূচিতে সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে ছয়টি বিষয়কে। সেই ছয়টি বিষয় হল সামাজিক সুরক্ষা, শিক্ষা, আবাস, স্বাস্থ্য, খাদ্য এবং উপার্জন। আসলে এই সকল সরকারি প্রকল্পের হাত ধরে তৃণমূল নতুন করে যেমন মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা চালাবে সেই রকমই তাদের তরফ থেকে এই সকল প্রকল্প সুনিশ্চিত করারও চেষ্টা চালানো হবে।
এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হলো সাধারণ মানুষের কাছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কৃষক বন্ধু, সামাজিক সুরক্ষা যোজনা, মানবিক পেনশন, জয় বাংলা, বিধবা ভাতা, স্বাস্থ্য সাথী, কন্যাশ্রী, ঐক্যশ্রী, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, শিক্ষাশ্রী, বাংলার আবাস যোজনা, নিজ গৃহ নিজ ভূমি, খাদ্য সাথী, যুবশ্রী এই প্রকল্পগুলি পৌঁছে দেওয়া এবং যারা পাননি তাদের সাহায্য করা।