চাঁদের নীচে আলোর বিন্দু, পশ্চিম আকাশের দৃশ্য দেখে অবাক সবাই

Antara Nag

Published on:

Advertisements

“চাঁদ দেখতে গিয়ে আমি তোমায় দেখে ফেলেছি…” এখন রাজ্যের মানুষের যা অবস্থা তাতে এই গানটাই সব থেকে বেশি যথাযথ। কারণ একটাই, আজ শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান মাস (Ramadan)। পশ্চিম আকাশ ফুঁড়ে বেরিয়েছে এক ফালি চাঁদ। কিন্তু সূর্য ডুবতেই চাঁদের দিকে তাকালে দেখা যাচ্ছে তার গায়ে সেঁটে রয়েছে এক আলোর বিন্দু।

Advertisements

এতটাই সেঁটে আছে যে তাকে দেখতে না চাইলেও রমজানের চাঁদ (Moon) দেখার জন্য চাঁদের পানে তাকালেই চোখে পড়বে সে। এমনই এক অদ্ভুত মহাজাগতিক দৃশ্যের (Cosmic Scene) সাক্ষী থাকলো গোটা রাজ্যবাসী। এমন দৃশ্য এর আগে কবে দেখা গিয়েছে মনে করতে পারছেন কেউই। সন্ধ্যা ৬টা অবধি সেই আলোর বিন্দুকে দেখা গিয়েছে চাঁদের একেবারে গায়েই। পরে অবশ্য খানিকটা সরে গিয়েছে সেটা।

Advertisements

আর এই দৃশ্য দেখার জন্য হা হয়ে গোটা রাজ্যবাসী আকাশ পানে চেয়ে। শুধু কলকাতা (Kolkata) নয় প্রায় গোটা রাজ্য জুড়েই দেখা গিয়েছে এই মহাজাগতিক দৃশ্য। বস্তুতই এই নিয়ে একরাশ কৌতূহল জন্মেছে আমজনতার মনে। তবে এই ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়েছে কলকাতার ইনস্টিটিউট অব অ্যাস্ট্রোনমি স্পেস অ্যান্ড আর্থ সায়েন্সের (IASES) ডিরেক্টর দেবী প্রসাদ দুয়ারী (Debiprasad Duyari)।

Advertisements

মানুষের কৌতূহল নিরসনের জন্য তিনি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, চাঁদের গায়ে লেগে থাকা এই আলোক বিন্দু আসলে হলো শুক্রগ্রহ (Venus)। তিনি আরো জানিয়েছেন, কলকাতার স্থানীয় সময় বিকেল ৪ টে থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শুক্রগ্রহ, চাঁদ আর পৃথিবী প্রায় একই সরল রেখায় অবস্থান করছিল। তাই ওই সময় চাঁদের দিকে তাকালে আলোর বিন্দুর মত দেখা গিয়েছে শুক্রগ্রহ কে। তারপর তারা আপন গতিতে চলার কারণে একে অপরের থেকে দূরে সরে গিয়েছে।

স্বভাবতই যারা এমন ঘটনা চাক্ষুষ করতে পারেননি তাদের মনে একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে যে আবার এমন ঘটনা কবে দেখা যাবে। এই প্রসঙ্গে দেবী প্রসাদ দুয়ারী বলেছেন সৌর জগতে (Solar System) প্রতিটা গ্রহ, উপগ্রহই আপন গতিতে গতিমান। নিজের কক্ষ পথে ঘুরতে ঘুরতে তারা একে অপরের কাছে আসে, আবার দূরেও সরে যায়। তাই আবার কবে শুক্রগ্রহ, চাঁদ এবং পৃথিবী এক সরলরেখায় আসবে সেটা এখনই বলা বেশ মুশকিল।

Advertisements