নিজস্ব প্রতিবেদন : এমনিতে বছর জানুয়ারি মাসের শুরু হলেও নতুন অর্থ বর্ষ (Financial Year) শুরু হয় এপ্রিল মাসে। এপ্রিল মাসে অর্থবর্ষ শুরু হওয়ার পর তা সারা বছর চলে এবং মার্চ মাসের শেষ হয়। তবে প্রশ্ন হল বছরের প্রথম মাস জানুয়ারি ছেড়ে কেন এপ্রিল মাসকেই বেছে নেওয়া হয় নতুন অর্থবছরের জন্য। এর রহস্য কি?
চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের ১ এপ্রিল শনিবার থেকে শুরু হল নতুন অর্থবছর। এই অর্থ বছর চলবে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত। যে কারণে এই অর্থবর্ষকে বলা হয় ২০২৩-২৪ অর্থ বর্ষ। এই সময়ের মধ্যে যাবতীয় সরকারি কাজকর্মের হিসেব-নিকেশ করা হয়। এছাড়াও হিসেব-নিকেশ করা হয় গৃহঋণ, কর, গৃহনির্মাণ ঋণ ও আয়কর রিটার্নের।
সব থেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো নতুন অর্থ বর্ষ নিয়ে পরিকল্পনা করার আগে বাজেট পেশ করা হয় সরকারের তরফ থেকে। যেমন গত কয়েক বছর ধরেই বাজেট পেশ করার দিনক্ষণ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে ১ ফেব্রুয়ারি। এই বাজেট অধিবেশনেই নতুন অর্থবছরে কোন খাতে কত খরচ হবে তার প্রস্তুতি সম্পর্কিত হিসাব প্রকাশ করা হয়ে থাকে সরকারের তরফ থেকে।
তবে ১ এপ্রিল ভারতে নতুন অর্থ বর্ষের শুরুর দিন হিসাবে ধরার নিয়ম ছিল না। এই নিয়ম এসেছে মূলত ব্রিটিশদের হাত ধরে। আগে অর্থাৎ ১৮৬৭ সালেও নতুন অর্থ বর্ষের সূচনা দিন হিসাবে ধরা হতো ১ মে। কিন্তু ব্রিটিশরা তাদের হিসাব অনুযায়ী সব সময়ই ১ এপ্রিল নতুন অর্থবছরের সূচনা হিসাবে ধরে থাকে। সেই থেকেই এই দিনটি নতুন অর্থবর্ষের সূচনা ধরা হয় এবং আজও তা চলছে।
ভারতে ১ এপ্রিল নতুন অর্থ বর্ষ সূচনার দিন হিসাবে মেনে চলার পেছনে রয়েছে কৃষি। ভারত কৃষি নির্ভর দেশ হওয়ার পাশাপাশি দেশে রবি শস্য বিপুল পরিমাণে ফলে। ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে এই ফসল তোলা হয় এবং তারপর শুরু হয় টাকার লেনদেন। ব্রিটিশ আমলে ভারত আরও কৃষি নির্ভর ছিল এবং মার্চ এপ্রিল মাসে কর দিতে তাদের সুবিধা হত। যে কারণেই এমন নিয়ম চালু রয়েছে।