আমাদের দেশে এমন অনেক মন্দিরই (Tample) রয়েছে, যেখানে মহিলাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। তেমনই একটি অদ্ভুত মন্দির রয়েছে কেরলের কোল্লাম (Kollam) শহরের কোট্টানকুলাঙ্গারা দেবীর (Kottankulangara Devi Temple) মন্দির। এই মন্দিরে (Tample) পুজো পান আদি শক্তির ভগবতী রূপ। আর এখানকার সব থেকে আশ্চর্যের বিষয় এখানে ভক্তরা আসেন মহিলাদের মতো শাড়ি-গয়না পরে।
লৌকিক কাহিনি থেকে জানা যায়, এখন যেখানে মন্দির (Tample) সেখানে এক সময়ে ছিল জঙ্গল। সেখানকার রাখালরা তাদের গবাদি পশুদের চরাতে এই স্থানে আসত। আর নিজেরা খেলে বেড়াত জঙ্গলের মধ্যে। এখানেই নাকি একটি বড় পাথর ছিল, যেখানে তারা খেলা করত। আর এই রাখালরা নাকি মেয়েদের পোশাক পরে খেলা করত এই জঙ্গলে।
এমনই এক দিন খেলার সময় সেই পাথর থেকে প্রকট হন স্বয়ং দেবী দুর্গা। সেই খবর ছড়িয়ে পড়তে বেশি সময় লাগেনি। আর তার পর থেকেই এটা প্রচারিত হয়ে যায় যে, নারী বেশে পুরুষরাই দেবীকে সতুষ্ট করতে পারবেন। তারপর থেকেই পুরুষরা এই ভাবে পুজো করে আসছেন। চামায়াবিলাক্কু উৎসবের জন্য প্রতি বছর তাই পুরুষরা এই মন্দিরে (Tample) হাজির হন নারী বেশে।
মার্চ মাসের বিশেষ কয়েকটা দিনে রাত ২ টো থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত দর্শনার্থীরা মন্দিরে এলে এই দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন। পুরুষদের সাজানোর জন্য মন্দিরের কাছাকাছি বিউটিশিয়ানরাও উপস্থিত থাকেন। স্থানীয় মানুষ বিশ্বাস করেন যে এখানে পুজো দিলে পাপ মুক্ত ও ঋণ মুক্ত হওয়া যায়।
কোল্লামের কোট্টানকুলাঙ্গারা মন্দিরে চামায়াবিলাক্কুর উৎসবে (Chamayabilakkur Festival) পুরুষরাই কেবল এইভাবে পুজো করে। প্রতি বছর মার্চ মাসে ১০-১২ দিন ধরে এই উৎসব পালন করা হয়। আর উৎসবের শেষ দিনে পুরুষরা শাড়ি-গয়না-জুঁই ফুল খোঁপায় দিয়ে পুজো করতে আসে। মন্দির থেকে ৫ কিমি সীমার মধ্যে বাস করেন এমন পুরুষরাই দেবীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসেন এই ভাবে। এমনকি ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ও পূর্ণ উদ্যমে এই উৎসবে অংশগ্রহণ করেন।