আমাদের চারপাশে কত অদ্ভুত ঘটনায় না ঘটে চলেছে। কিন্তু প্রত্যেকটা ঘটনা আমাদের জানা হয়ে ওঠে না। তবু বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে কিছু কিছু ঘটনা ভাইরাল হয়ে ওঠে। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে নদীয়ায়। যেখানে স্বামীর টাকায় পড়াশোনা করে চাকরি পায় স্ত্রী এবং তারপরেই জড়িয়ে পড়ে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে। সেই কারণে স্ত্রীর (Wife) বাড়ির সামনে ধরনায় বসেছেন স্বামী (Husband)।
নদীয়া জেলার হাবিবপুর অঞ্চলের ঘটনা এটি। বাসিন্দা অনুপ কুমার মজুমদারের অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী (Wife) বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত। এবং তার গাড়িটি নাকি আটক করে রেখেছে এবং ছয় বছর বয়সী এর সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছে না তার স্ত্রী। স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েও নাকি কোন সুরাহা মেলেনি সেই কারণে তিনি এবার বিচার চাইতে বসলেন ধরনায়।
ওই ব্যক্তি জানিয়েছে যে, তিনি আগে বাড়ি বাড়ি গ্যাস ডেলিভারির কাজ করতেন। এবং তাতে তার যা আয় হতো সেই আয় দিয়ে তিনি সংসার খরচ চালাতেন। তার পাশাপাশি তার স্ত্রীকে (Wife) ম্যানেজমেন্ট কোর্স করান এবং এমএ-ও পরান। এরপর তিনি একটি কোম্পানিতে সুপারিশ করে তার স্ত্রীকে একটি চাকরিও জোগাড় করে দেন। কিন্তু সমস্যার সূত্রপাত সেখান থেকেই। কারণ চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর তার স্ত্রী সেই অফিসেরই এক ব্যক্তির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন পরকীয়ায়।
বিষয়টি তার স্বামী জেনে ফেলায় ওই মহিলা আলাদা থাকতে শুরু করেন। এবং খোরপোষ বাবদ তার স্বামীর থেকে কিছু টাকাও নেন। সেই সঙ্গে তার স্বামীর একটি মাত্র গাড়িটিও আটক করে রেখে দেন এবং তাদের একমাত্র পুত্র সন্তানকেও রেখে দেন নিজের কাছে। কোনভাবেই দেখা করতে দেন না তা স্বামীর (Husband) সঙ্গে।
আর এই ঘটনার পর প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো লাভ হয় না। তাই ওই ব্যক্তি বুকে পোস্টার লাগিয়ে শান্তিপুর এলাকার দুই নম্বর কলোনিতে তার স্ত্রীর বাড়ির সামনে বসে পড়েন ধর্নায়। যদিও তাঁর স্ত্রী সুচন্দা বিশ্বাসও নানান অভিযোগ তুলেছেন স্বামীর (Husband) বিরুদ্ধে। এমনকি স্বামীর তোলা অভিযোগ ‘ সাজানো’ বলে জানিয়েছেন তিনি। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় ওই এলাকায়। প্রতিবেশীরা সকলেই আসেন বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে। কিন্তু তাতেও কোনো সমাধান সূত্র বেরোয় না।