অদ্ভুত এই কারণে সব সময় বন্ধ রাখা হয় কুতুব মিনারের একটি দরজা

Antara Nag

Updated on:

Advertisements

ভারত (India) এমন একটি দেশ যা বহু ঐতিহাসিক নিদর্শন এবং প্রাচীন মন্দিরে পরিপূর্ণ। যাইহোক, এমন অনেক স্মৃতিস্তম্ভ এবং মন্দির রয়েছে, যার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে একাধিক রহস্য। এর মধ্যে এমন অনেক জায়গা রয়েছে, যার কিছু দরজা শুধু বহু বছর নয়, বহু শতাব্দী ধরেও খোলা হয়নি। এসব দরজা বন্ধ রাখার নেপথ্যে গুরুতর কিছু কারণ ছিল বলে মনে করা হয়।

Advertisements

ইতিহাস (History) থেকে জানা যায়, সুলতান মুহাম্মদ ঘুরির (Muhammad Ghuri)সেনাপতি ও প্রতিনিধি কুতুব-উদ্দিন আইবক (Qutubuddin Aibak) ১১৯২ খ্রিস্টাব্দে রাজা পৃথ্বিরাজ চৌহানকে (Prithwiraj Chauhan) তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধে পরাজিত করেন। এ বিজয়ের পরে তিনি দিল্লি অধিকার করে কুওয়াতুল ইসলাম নামে একটি মসজিদ এবং এর সংলগ্ন একটি মিনার নির্মাণ করেন।

Advertisements

এই মিনারটি ভারতবর্ষের মুসলিম ঐতিহ্যের এক অনন্য নিদর্শন। ভারতের প্রথম মুসলমান শাসক কুতুবুদ্দিন আইবেকের (Kutubuddin Ibok) আদেশে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১১৯৩ খ্রিস্টাব্দে। তার তত্ত্বাবধানে প্রথম ও দ্বিতীয় তলা নির্মিত হয়।

Advertisements

পরবর্তী সময়ে (১২১১-৩৬) সুলতান শামসুদ্দিন ইলতুৎমিশের (Iltutmish) তত্ত্বাবধানে মিনারের তৃতীয় ও চতুর্থ তলা এবং শেষে সুলতান ফিরোজ শাহ তুঘলকের হাতে পঞ্চম তলা নির্মাণ শেষ হয় ১৩৮৬ খ্রিস্টাব্দে। ভারতীয়-মুসলিম স্থাপত্যশৈলীর গুরুত্বপূর্ণ এবং অন্যতম প্রাচীন নিদর্শন কুতুব মিনার (Qutub minar)।

সেই সময় কুতুব মিনারের দরজা সাধারণের জন্য খোলা থাকলেও পরবর্তীকালে তা জনসাধারণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। কথিত আছে, ১৯৮১ সালের ৪ ডিসেম্বর কুতুব মিনারের ভিতরে একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। যার জেরে ভিতরে পদদলিত হয়ে প্রায় ৪৫ জনের মৃত্যু হয়। এর পর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় কুতুব মিনারের দরজা।

Advertisements