এত নোংরা! এত নোংরা! এই কয়েকটি ট্রেনে টিকিট কাটার আগে ১০ বার ভাবুন!

Avatar

Published on:

বিগত কয়েক বছরে দেশজুড়ে চলা স্বচ্ছ ভারত অভিযান দেশ সাড়া ফেলেছে। স্বচ্ছতার জন্য মানুষকে সচেতন করতে বিভিন্নভাবে প্রচার চালানো হয়েছে। স্বচ্ছতা নিরিখে অনেকটা এগিয়েছে ভারতীয় রেল। ভারতীয় রেল (Indian Railways) বর্তমানে সমস্ত ট্রেন গুলির স্বচ্ছতার দিকে নজর দিয়েছে। নজর দিয়েছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে। ট্রেনের টয়লেট গুলির মান উন্নয়ন করা হয়েছে। ট্রেনগুলিকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে নতুনভাবে।

হালফিলে শুরু হওয়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express) থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রিমিয়াম ট্রেন, মেল, এক্সপ্রেসের স্বচ্ছতার দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। নজর দেওয়া হয়েছে লোকাল ট্রেনের পরিচ্ছন্নতার দিকেও। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন ভারতের সবথেকে নোংরা ট্রেন কোনটি? দেশে যেমন সাফসুতরো প্রিমিয়াম ট্রেন চলছে, তেমন ভারতীয় রেলে পরিবহনের কাজে যুক্ত রয়েছে এমন কিছু ট্রেন, যেগুলিকে বর্তমানে ভারতের সবচেয়ে নোংরা ট্রেন বলা হচ্ছে। আপনি কি জানেন এই ট্রেন সম্পর্কে? না জানা থাকলে এই প্রতিবেদন মিস করবেন না।

যদিও অনেক যাত্রীদের অভিযোগ, ভারতীয় রেল পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে নানাভাবে উদ্যোগ নিলেও, এখনো বিভিন্ন ট্রেনেই ময়লার চোটে নাভিঃশ্বাস উঠে। সে প্রিমিয়াম ট্রেন হোক বা গরিব রথ, বা প্রতিদিনের যাতায়াতের জন্য লোকাল ট্রেন। সব ক্ষেত্রেই রেল বিশেষভাবে নজর দিলেও, তা এখনো পর্যন্ত পুরোপুরি কার্যকর হয়নি বলে অনেক যাত্রী অভিযোগ করেন। যাত্রীদের অভিযোগ করার জন্য রয়েছে রেল মদত নামের একটি অ্যাপ। এই অ্যাপের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশের বেশ কয়েকটি ট্রেন সবচেয়ে অপরিচ্ছন্ন হলে পরিগণিত হচ্ছে।

‘রেল মদত’ অ্যাপের অভিযোগ অনুযায়ী, সহরসা-অমৃতসরগামী গরিব রথ ট্রেনটি অপরিচ্ছন্নতার দিক থেকে এক নম্বরে রয়েছে। এই ট্রেনটি পঞ্জাবের অমৃতসর থেকে বিহারের সহরসা জেলায় যায়। পঞ্জাবের অমৃতসর থেকে বিহারের সহরসা জেলায় যাতায়াতকারী ট্রেনটি দুই প্রান্ত থেকেই যাত্রীতে পরিপূর্ণ থাকে। এই ট্রেনে অপরিচ্ছন্নতা নিয়ে কম করে ৮১টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। কোচ থেকে শুরু করে সিঙ্ক, টয়লেট কেবিন পর্যন্ত সবই এখানে নোংরা। এ যাত্রীরা অনেক অভিযোগ করেছেন।

এরপর আসে যোগবানী-আনন্দ বিহার সীমাঞ্চল এক্সপ্রেস ট্রেন (৬৭ অভিযোগ)। তারপর মাতা বৈষ্ণো দেবী-বান্দ্রা স্বরাজ এক্সপ্রেস ট্রেন (৬৪), বান্দ্রা-শ্রী মাতা বৈষ্ণো দেবী স্বরাজ এক্সপ্রেস ট্রেন (৬১) এবং ফিরোজপুর-আগরতলা ত্রিপুরা সুন্দরী এক্সপ্রেস। এই ট্রেনের অপরিচ্ছন্নতা সংক্রান্ত ৫৭ টি অভিযোগ রিপোর্ট জমা পড়েছে।

পাশাপাশি এই ট্রেন গুলিও বেশ অপরিচ্ছন্ন বলে পরিচিতি পেয়েছে। দিল্লি-বিহার আনন্দ বিহার-যোগবানী সীমাঞ্চল এক্সপ্রেস ট্রেন সম্পর্কে ৫২টি, আজমির-জম্মু তাভি পূজা এক্সপ্রেস ট্রেনে ৪০টি, অমৃতসর ক্লোন স্পেশাল ট্রেনে ৫০টি এবং নতুন দিল্লি-ডিব্রুগড় রাজধানী এক্সপ্রেস ট্রেন সম্পর্কে ৩৫টি অভিযোগ পাওয়া গেছে।