‘এক ফুল, দো মালি’, দিদির দূতের কাছে ছুটলেন যুবক! হলটা কি?

Avatar

Published on:

কথায় আছে ভালোবাসার টান এক মোহ। এই টান উপেক্ষা করা খুব সহজ কথা নয়। সেই ভালোবাসার টানে স্বামী সংসার ছেড়ে এক বধূ আশ্রয় নিয়েছিলেন প্রেমিকের বাড়িতে। বধু সেই বাড়িতে কয়েকদিন বেশ আনন্দেই কাটাচ্ছিলেন। কিন্তু বিপদ হয়ে দাঁড়ালো শ্বশুরবাড়ির লোকজন। আর এই বিপদের দিনে দিদির দূতের শরণাপন্ন হলেন মানুষজন।

মানুষের সমস্যা সমাধানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দিদির দূত প্রকল্প চালু করেছেন। যাদের কাছে সমস্যা জানালে সুরাহার পথ মিলতে পারে। তাই বলে এমন সমস্যা। সমস্যা শুনেই ভিড়মি খেয়েছেন দিদির দূত। তবে তাদের সাফ বক্তব্য, বউ নিয়ে সংকট তো সব থেকে বড় সমস্যা। এখন চিন্তা সমাধান হবে কিভাবে।

জানা গিয়েছে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে ছিল যে দু পক্ষের মধ্যে ব্যাপক হাতাহাতি হয়েছে গ্রামের লোকজন বাধা দিলে তাদেরকে মারধর করা হয়েছে। মহিলার শ্বশুর বাড়ি এলাকার লোকজন ওই বধুকে এসে গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়েছেন। বাধা দিতে গেলে মারধর করা হয়েছে গ্রামের লোকজনকে। এই ঘটনায় ৮ জন গুরুতরভাবে জখম হয়েছেন। তারপরেই ভালোবাসাকে ফিরে পেতে দিদির দূতের শরণাপন্ন হয়েছেন যুবক। ৯ এপ্রিল ঘটনাটি ঘটে বাগদা থানার সিন্দ্রানী গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিনগর এলাকায়। পুলিশ এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের নাম গীতু রায়, ঝরনা রায়, তপতী রায় ও বন্দনা বিশ্বাস।

তা আসল ঘটনা কি? কোথায় এই ঘটনার সূত্রপাত? খোঁজখবর করে পাওয়া গিয়েছে সেই রহস্যের সন্ধান। আসুন জেনে নেওয়া যাক আসলে কি হয়েছিল। জানা গিয়েছে, বাগদার কনিয়াড়া-দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের তেঘরিয়া গ্রামের বাসিন্দা পাপিয়া রায়ের সঙ্গে কয়েক বছর আগে পাশের বেলেটারা গ্রামের এক ব্যক্তির বিয়ে হয়।

যদিও বিয়ের আগে থেকে হরিনগর গ্রামের বাসিন্দা অনুপম বাগচীর সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরিবারের লোকজন পাপিয়ার অমতেই তাঁর বিয়ে দিয়েছিল বলে অভিযোগ। বিয়ের পর তিনি অনুপমের সঙ্গে পালিয়েও যান একবার। তখন পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। মাস দুয়েক আগে পাপিয়া ফের অনুপমের বাড়িতে গিয়ে থাকতে শুরু করেন। তাঁদের দাবি, দু’জনে মন্দিরে গিয়ে বিয়েও করেন। স্ত্রীকে ফিরে পাওয়ার জন্য অবশেষে তৃণমূল কংগ্রেসের দিদির দূতের শরণাপন্ন হন অনুপম। দিদির দূতকে জানান, তিনি পাপিয়াকে মন্দিরে বিয়ে করেছেন। তাই স্ত্রীকে ফিরে পেতে চান।