নিজস্ব প্রতিবেদন : নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সোমবার ভোর পাঁচটা নাগাদ গ্রেপ্তার হন মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jiban Krishna Saha)। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যের পর তৃতীয় বিধায়ক হিসাবে গ্রেপ্তার হলেন তিনি। তবে তার গ্রেপ্তার হওয়ার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে আর সেই ভিডিও দেখে হেসে গড়াগড়ি দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
আসলে বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা গত ৫ এপ্রিল বড়ঞা ব্লকের অন্তর্গত করুণ্ননুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মানদ্রা বিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে। সেখানে জীবনকৃষ্ণ সাহার সামনেই বিধায়ককে এক বৃদ্ধ আঙুল দেখিয়ে চোর বলেছিলেন। এরপরই জীবন কৃষ্ণ সাহা রীতিমত বেকায়দায় পড়ে যান।
এই ঘটনায় বেকায়দায় পড়ে রীতিমতো ধমক দিতে দেখা গিয়েছিল জীবন কৃষ্ণকে। ওই ক্যাম্পে অন্যান্যদের সামনেই ওই বৃদ্ধকে ধরে জীবন কৃষ্ণ সাহা একের পর এক প্রশ্ন করেন। সেই সকল প্রশ্নের রীতিমত থতমত হয়ে যান ওই বৃদ্ধ। ওই বৃদ্ধের সঙ্গে কথা বলার সময় জীবনকৃষ্ণ সাহা নিজের হয়ে একের পর এক সাফাই দেন।
সাফাই দিতে গিয়ে জীবনকৃষ্ণ সাহা জানান, “আপনাকে লোকে মাথা পাগলা লোক বলবে তো। আমার বাড়ি চলুন দেখবেন। আমি কি চুরি করার লোক। মানুষকে না চিনে উল্টোপাল্টা বলবেন না। আমি চুরি করা ঘরের ছেলে নয়। আমার বাবা রাইস মিলের মালিক, আলু স্টোরের মালিক, রেশন ডিলার। আমরা চুরি করি না লোককে বিলিয়ে দিই।”
এই সকল কথা বলার পর জীবনকৃষ্ণ সাহাকে রীতিমতো রেগেও যেতে দেখা যায়। তবে সেদিনের সেই ঘটনা অতীত হলেও বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহার এই সকল সাফাই কাজে এলো না। কারণ সেদিনের সেই ঘটনার দু’সপ্তাহ পার হতে না হতেই তাকে গ্রেপ্তার হতে হলো সিবিআই আধিকারিকদের হাতে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে। সোমবার নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে জীবনকৃষ্ণ সাহা গ্রেপ্তার হওয়ার পর সেদিনের সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।