নিজস্ব প্রতিবেদন : তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের পর সর্বভারতীয় নেতা হয়ে উঠেছিলেন মুকুল রায় (Mukul Roy)। এরপর প্রথমবার একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তাকে জয়লাভ করতে দেখা যায় বিজেপির টিকিটে। যদিও প্রথমবার বিধায়ক হয়ে মুকুল রায় আর বিজেপিতে না থেকে তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করেন। তৃণমূলের প্রত্যাবর্তন করার পর তার মধ্যে দেখা যায় নানান শারীরিক অসুস্থতা। সোডিয়াম পটাশিয়ামের ব্যালেন্স না থাকার কারণে হামেশাই তাকে ভুলভাল কথা বলতেও দেখা যায়।
এরই মধ্যে গত কয়েকদিন আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে কলকাতার বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। সেখানে তার অপারেশন হয় মস্তিষ্কে এবং মস্তিষ্কে একটি চিপ লাগানো হয় বলে জানা যাচ্ছে সূত্র মারফৎ। হাসপাতালে অপারেশনের পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন মুকুল রায় (Mukul Roy)। তবে এরই মধ্যে সোমবার রাতে তাকে নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন করে জল্পনা।
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসার দীর্ঘ ২ বছর পর সোমবার হঠাৎ তাকে দিল্লি পাড়ি দিতে দেখা যায়। সোমবার সন্ধ্যা ৭ঃ৫৬ মিনিটে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে তিনি বিমান ধরেন এবং রাতেই পৌঁছে যান রাজধানী। বিশেষ কোনো কাজে তিনি দিল্লি সফরে বলেই জানিয়েছেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়। মুকুল রায়ের সঙ্গে ভগিরথ নামে এক ব্যক্তি এবং তার গাড়ি চালক রয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে হঠাৎ মুকুল রায়ের দিল্লি সফর, আবার তা কাউকে না জানিয়েই, এই সকল বিষয়কে নিয়ে ফের কোন চমক সামনে আসছে কিনা তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। যদিও দিল্লি বিমানবন্দরে নেমে মুকুল রায় জানান, তিনি কি দিল্লি আসতে পারেন না? তিনি তো এমপি ছিলেন। তবে কি কারণে দিল্লির সফর তা তিনি জানাননি। শুধু এইটুকু জানিয়েছেন, যতদিন দরকার ততদিন তিনি দিল্লিতে থাকবেন।
বঙ্গ রাজনীতির চাণক্য হিসেবে একসময় পরিচিত ছিলেন মুকুল রায়। তবে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসার পর থেকেই তাকে আর দেখা যায় না। এমন পরিস্থিতিতে সোমবার রাতে তিনি দিল্লি গেলেও নিরাপত্তারক্ষীরা পর্যন্ত জানতেন না তিনি কোথায় যাচ্ছেন। এমনকি তার ছেলে শুভ্রাংশুও বিষয়টি নিয়ে অবগত ছিলেন না বলেই সূত্রের খবর। এমন পরিস্থিতিতে মুকুল রায় নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছেন।