নিজস্ব প্রতিবেদন : নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে তদন্তে নেমে শুক্রবার মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহার (JibanKrishna Saha) বাড়িতে হানা দেন সিবিআই আধিকারিকরা (CBI)। সেখানে হানা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই জীবনকৃষ্ণ সাহার দুটি মোবাইল সিজ করেন আধিকারিকরা। সুত্র মারফত জানা যাচ্ছে, সিবিআই আধিকারিকরা কিন্তু সেই সময় তাকে গ্রেফতার করেননি। কিন্তু এরপরেই যত কাণ্ড ঘটান জীবনকৃষ্ণ। সুযোগ বুঝে জীবনকৃষ্ণ সিজ করা দুটি মোবাইল ছুঁড়ে ফেলে দেন তার বাড়ির পাশে থাকা পুকুরে। এরপরই নাটকীয় মোড় নেয় ঘটনায়।
পুকুর থেকে ফেলে দেওয়া দুটি মোবাইল উদ্ধারের জন্য জেলে নামানো হয়। স্থানীয় জেলেদের ভাড়া করে আনেন সিবিআই আধিকারিকরা। পুকুরে ফেলে দেওয়া দুটি মোবাইলের একটি উদ্ধার হয় ৪৩ ঘন্টা পর। তবে দ্বিতীয় মোবাইলের খোঁজ কোনোভাবেই মিলছিল না। রবিবার দিনভর তল্লাশি চালিয়ে মোবাইল না পাওয়ার পর অবশেষে সোমবার ভোরবেলায় সিবিআইয়ের একটি টিম এসে জীবনকৃষ্ণকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
অন্যদিকে যে টিমটি আগেই জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে হানা দিয়েছিল সেই টিম মোবাইলের খোঁজে বিধায়কের পুকুরেই থাকে। আর সেই দ্বিতীয় মোবাইল উদ্ধার হয় সোমবার দুপুর বেলা। সোমবার দুপুর বেলা দ্বিতীয় মোবাইলটি উদ্ধার করতে সক্ষম হন সঞ্জীব বাগদি (Sanjib Bagdi) নামে বছর ৩৪-এর এক যুবক। তিনি বিধায়কের দ্বিতীয় মোবাইল উদ্ধার করে এখন এলাকায় হিরো হয়ে দাঁড়িয়েছেন।
সঞ্জীব বাগদির বাড়ি মুর্শিদাবাদের আন্দির খড়জুনায়। যেখানে তিনি তার পরিবার পরিজনদের নিয়েই বসবাস করেন। তাকে ৫০০ টাকার বিনিময়ে সিবিআই আধিকারিকরা মোবাইল খোঁজার জন্য ভাড়া করেছিলেন। যেখানে আরও জেলেরা ছিলেন মোবাইল খোঁজার জন্য সেই জায়গায় তিনি সেই মোবাইলের উদ্ধার করে হিরো হয়ে উঠেছেন।
অন্যান্যরা মোবাইল খুঁজতে ব্যর্থ হলেও তিনি কিভাবে সেই মোবাইল খুঁজে ফেললেন তা জানাতে গিয়ে সঞ্জীব বাগদি জানান, যেভাবে মোবাইলটি ছুঁড়ে ফেলা হয়েছিল ঠিক সেই ভাবেই ঢিল ছোঁড়া হয়। তারপর সেটি খুঁজে পাওয়া যায় খুঁজে গাছের নিচে। তিনি আরও জানিয়েছেন মোবাইলটি উদ্ধার করার পর সেটি প্যাকেট বন্দি অবস্থায় ছিল। অন্যদিকে এমন সাফল্যের পর সঞ্জীব বাবু সিবিআই আধিকারিকদের কাছে পুরস্কারের জন্য আবেদন জানিয়েছেন। তবে তার কপালে কোনো পুরস্কার জোটে কিনা তাই এখন দেখার।