নিজস্ব প্রতিবেদন : নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই আধিকারিকরা মুর্শিদাবাদে বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার (JibanKrishna Saha) বাড়িতে হানা দেওয়ার পর একাধিক নাটকীয় মুহূর্ত দেখেছে বাংলা। এর পাশাপাশি জীবনকৃষ্ণ গ্রেপ্তার হওয়ার পর বেরিয়ে এসেছে একের পর এক রহস্য। এসবের মধ্যে রয়েছে জীবনকৃষ্ণের পারিবারিক পরিস্থিতিও।
জীবনকৃষ্ণ গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার বাবা বিশ্বনাথ সাহা (Biswanath Saha) ছেলের বিরুদ্ধে মুখ খুলে ছিলেন। একাধিক অভিযোগ এনেছিলেন ছেলের বিরুদ্ধে। সেই সকল অভিযোগের মধ্যে রয়েছে অত্যাচার, জোর করে সম্পত্তি দখল করা ইত্যাদি। জীবন কৃষ্ণের বাবা বিশ্বনাথ সাহার এমন অভিযোগের পাশাপাশি একই রকম অভিযোগ করতে দেখা গিয়েছে জীবন কৃষ্ণের সৎ বোন এবং সৎ মাকেও।
তবে এবার এদের বিরুদ্ধে জীবন কৃষ্ণের মা যা অভিযোগ আনলেন তা শুনে বলতেই হয় ‘ক্রিটিক্যাল ফ্যামিলি’। জীবন কৃষ্ণের মা অর্থাৎ বিশ্বনাথ সাহার প্রথম স্ত্রী বেলারানী সাহা জীবন কৃষ্ণের পক্ষেই সাওয়াল করেছেন আর কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন বিশ্বনাথ সাহা সহ অন্যান্যদের। বেলারানীর কথা অনুযায়ী জীবনকৃষ্ণ কারো থেকে কোন দিন কোনরকম সহযোগিতা পায় নি। নিজের যোগ্যতায় পড়াশোনা করে দু দুটি চাকরি পেয়েছিল। নিজের যোগ্যতাতেই বিধায়ক হয়েছে।
বেলারানী সাহা বর্তমানে খড়গ্রাম থানার অন্তর্গত পারুলিয়া গ্রামে বসবাস করেন। বাড়ির অবস্থা একেবারেই খারাপ। আগেকার দিনের টিনের চালাবাড়িতে বসবাস করেন। তবে তার সংসার চালানোর জন্য জীবনকৃষ্ণ তাকে প্রতিমাসে টাকা পাঠাতেন বলে জানিয়েছেন। কোন সময় নিজে অথবা কোন সময় বন্ধুর হাত দিয়ে টাকা পাঠিয়ে দিতেন মাকে জীবন কৃষ্ণ।
জীবন কৃষ্ণের মা বেলারানি সাহার সঙ্গে বিশ্বনাথ সাহার বিয়ে হওয়ার জীবনকৃষ্ণের বয়স যখন ৭ বছর তখন বেলারনি সাহাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। বেলারানী সাহাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হলেও জীবনকৃষ্ণকে বিশ্বনাথ সাহা রেখে দেন। ছেলের সঙ্গে দেখা করতে দিতেন না বলেও অভিযোগ তুলেছেন বেলারানী সাহা। বেলারানী সাহার তিন সন্তান, বড় ছেলে হলেন জীবনকৃষ্ণ সাহা এবং বাকি দুই মেয়ে।