নিজস্ব প্রতিবেদন : সোনার অলংকার হোক অথবা অন্য কিছু, ভারতীয়দের সোনার প্রতি আকর্ষণ কম নয়। আর এই আকর্ষণ থেকেই দেশের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই রয়েছে সোনার অলংকার। পরিমাণে কম হোক অথবা বেশি, ভারতীয়দের ঘরে ঘরে সোনার অলংকার থাকা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। তবে এই সকল সোনার অলংকার বাড়িতে ফেলে রাখেন অধিকাংশ বাসিন্দারাই। বাড়িতে পড়ে থাকা সোনার অলংকার থেকে এবার রোজগারের জন্য কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে আনা হলো অবিশ্বাস্য একটি স্কিম।
বাড়িতে পড়ে থাকা সোনার অলংকার থেকে বাড়তি রোজগারের জন্য কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে যে স্কিম আনা হয়েছে তার নাম হলো গোল্ড মনিটাইজেশন স্কিম (Gold Monetization Scheme)। দুর্দান্ত এই স্কিম আনা হয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (RBI) অধীনে।
এমন একটি দুর্দান্ত স্কিমের জন্য কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে আট বছর আগে ২০১৫-১৬ কেন্দ্রীয় বাজেটে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। এই অনুমোদনের মূল উদ্দেশ্য হলো বিদ্যমান সোনার সঙ্গে যুক্ত স্কিমগুলি আরও কার্যকর এবং তাদের পরিধি বৃদ্ধি করা। এর পাশাপাশি নাগরিক এবং প্রতিষ্ঠানগুলির কাছে থাকা সোনা একত্রিত করে উৎপাদনশীল ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা।
এই প্রকল্পে মাত্র ১০ গ্রাম সোনা থাকলে অংশগ্রহণ করা যায়। সোনা জমা করার ক্ষেত্রে কোন ঊর্ধ্বসীমা নেই। এই স্কিমের আওতায় সোনা রাখার জন্য এক বছর থেকে তিন বছর স্বল্প মেয়াদের ভিত্তিতে জমা রাখা যায়। এছাড়াও পাঁচ থেকে তিন বছরের জন্য মধ্য মেয়াদি সরকারি ডিপোজিট এবং ১২ থেকে ১৪ বছরের জন্য দীর্ঘ মেয়াদি সরকারি ডিপোজিট করা যায়।
এই প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন ব্যাংকে সোনা জমা রাখার বন্দোবস্ত রয়েছে। তবে সুদের হার এবং ন্যূনতম বিনিয়োগ কাল ঠিক করে থাকে ব্যাংকগুলি। তবে যে পরিমাণ সুদ দেওয়া হয় সেই সুদের পরিমাণ ২.২৫ থেকে ২.৫০ শতাংশ পর্যন্ত হয়ে থাকে। সব থেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো এই স্কিমের পরিপ্রেক্ষিতে আপনার সোনা সুরক্ষিত থাকে এবং সুদও পাওয়া যায়।