নিজস্ব প্রতিবেদন : টানা সাত দিনের বেশি চরম তাপপ্রবাহের (Heatwave) সম্মুখীন হয় দেশের বিভিন্ন রাজ্যের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ জেলা। এই বছর পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়ার তাপমাত্রা এমন জায়গায় পৌঁছায় যে তা বিশ্বে সপ্তম উষ্ণতম শহরের জায়গা করে নেয়। বাঁকুড়ার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছে যায় প্রায় ৪৫ ডিগ্রিতে। তবে অন্যান্য জেলাগুলির ক্ষেত্রেও একই রকম পরিস্থিতি দেখা যায়। কোথাও ৪০ তো কোথাও ৪৩ ডিগ্রি! আগে যেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রী পার করত না।
আবার তাপপ্রবাহের দিনের সংখ্যাও আগের তুলনায় অনেক বেড়ে গিয়েছে। বর্তমানে যেখানে তাপপ্রবাহের দিন সংখ্যা ৭ থেকে ১১ দিন হয়ে দাঁড়িয়েছে সেই জায়গায় আগে দিন সংখ্যা এতটাও ছিল না। তবে এখানেই শেষ নয়, হাওয়া অফিসের তরফ থেকে তাপপ্রবাহ নিয়ে বিরাট অশনি সংকেত দেওয়া হল। হাওয়া অফিসের অশনি সংকেত অনুযায়ী, ভয়ংকর রূপ নিতে পারে তাপপ্রবাহ।
সম্প্রতি তীব্র তাপপ্রবাহ শেষ হওয়ার পর হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে। কিন্তু এই স্বস্তি দীর্ঘস্থায়ী হবে না। এর তাপমাত্রার পারদ তরতরিয়ে বাড়বে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে বর্তমানে তাপপ্রবাহের দিন সংখ্যা যেখানে ৭ থেকে ১১ দিন এসে দাঁড়িয়েছে তা বেড়ে দাঁড়াতে পারে ১২ থেকে ১৬ দিন। এই বছর যেভাবে তাপমাত্রার পারদ সর্বোচ্চ ৪৫ ডিগ্রি দেখা গিয়েছে তা বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৫০ ডিগ্রি বা তার বেশি।
এই অশনি সংকেত হাওয়া অফিসের তরফ থেকে দেওয়া হয়েছে মূলত ভবিষ্যতের জন্য। জানানো হয়েছে, ২০৬০ সালের মধ্যেই দেশের তাপপ্রবাহ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এবং তাপপ্রবাহের দিন সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পাবে। অর্থাৎ হাওয়া অফিসের অশনি সংকেত অনুযায়ী আগামী ৩০ বছরের মধ্যেই তাপপ্রবাহের ভয়ংকর রূপ দেখবে ভারত।
মঙ্গলবার হাওয়া অফিসের তরফ থেকে ‘হিট অ্যান্ড কোল্ডওয়েভস ইন ইন্ডিয়া প্রসেসস অ্যান্ড প্রেডিক্টেবিলিটি’ নামে একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। যেখানে এই ধরনের সতর্কবার্তা দেওয়ার পাশাপাশি তা মোকাবিলার জন্য শীতল ছাউনি তৈরির উল্লেখ্যও করা হয়েছে। এমনকি আইএমডি জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় বাদে অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের তুলনায় তাপপ্রবাহে দেশে মৃত্যু সংখ্যা অনেক বেশি।