নিজস্ব প্রতিবেদন : যত দিন যাচ্ছে যুগ ততই এগিয়ে যাচ্ছে। যুগের এই এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়ছে যন্ত্রের ব্যবহার। যন্ত্র দিন দিন মানুষের কাজকে দখল করে নিচ্ছে। এর ফলে একদিকে যেমন রয়েছে উপকারিতা ঠিক সেই রকমই অপরদিকে রয়েছে অপকারিতা। দিন দিন যন্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে কাজ যেমন সহজ হচ্ছে ঠিক তেমনি কাজ হারাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ।
এমনিতেই করোনাকালে বিশ্বের বিপুলসংখ্যক মানুষ কাজ হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গিয়েছিলেন। ধাপে ধাপে তারা নতুন করে নিজেদের জীবন শুরু করলেও এবার চাকরি নিয়ে আরও বড় আশঙ্কা তৈরি করছে AI অর্থাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবার বিভিন্ন ধরনের কাজের জায়গা দখল করতে ধাপে ধাপে এগোচ্ছে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অর্থাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো প্রযুক্তির ফলে ক্রমেই কমে যাচ্ছে কেরানি ধরনের চাকরির চাহিদা। তবে এর সঙ্গে সঙ্গেই আবার বাড়ছে সাইবার সিকিওরিটি স্পেশালিস্টদের মতো প্রযুক্তিবিদদের চাহিদা। এমন পরিস্থিতিতে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বিশ্বের কর্ম ক্ষেত্রে বিরাট এক পরিবর্তন আসবে বলে পূর্বাভাস দিল ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এই বিষয়ে একটি সমীক্ষা চালিয়েছে এবং সেই সমীক্ষার ফলাফল হিসাবে ১ মে তাদের তরফ থেকে কর্ম জগতের ভবিষ্যৎ নিয়ে জেনেভায় একটি বিশেষ রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, এআই, ডিজিটাইজেশন, গ্রিন এনার্জির মতো অর্থনৈতিক উন্নয়নের জেরে, বিশ্বের সমস্ত কাজের অন্তত এক চতুর্থাংশের প্রকৃতিতে বড় বদল আসবে।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের তরফ থেকে এই রিপোর্ট তৈরি করার জন্য বিশ্বের ৮০০ টি সংস্থায় সমীক্ষা চালানো হয়েছে। এই রিপোর্ট তৈরি করার জন্য ৬৭ কোটি ৩০ লক্ষ কাজের ডাটাসিট ব্যবহার করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে প্রযুক্তির ফলে ২০২৭ সালের মধ্যে যেমন নতুন ৬ কোটি ৯০ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি করবে, ঠিক সেই রকমই একই সময়ে ৮ কোটি ৩০ লক্ষ কর্ম হারিয়ে যাবে। সব মিলিয়ে ১ কোটি ৪০ লক্ষ কাজ কমে যাবে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে সবার আগে যাদের কাজ হারানোর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে তারা হলেন, কেরানি বা সচিব, ব্যাঙ্কের ক্যাশিয়ার। অন্যদিকে এই এক সময়ে যাদের চাহিদা বাড়বে তারা হলেন এআই মেশিন লার্নিং স্পেশালিস্ট এবং সাইবার সিকিওরিটি বিশেষজ্ঞ।