লকারে গয়না রাখার নিয়মে বদল, নয়া ঘোষণা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্তমানে অধিকাংশ ভারতীয় নাগরিকদের কাছেই রয়েছে সোনার গয়না অথবা গুরুত্বপূর্ণ সব নথিপত্র। নামিদামি গয়না অথবা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বাড়িতে রাখার থেকে ব্যাঙ্কের লকারে (Bank Locker) রাখা অনেক বেশি নিরাপদ। দেশের বহু মানুষ রয়েছেন যারা নামিদামি গয়না অথবা জরুরী কাগজপত্র ব্যাংকের লকারে রেখে থাকেন নিরাপত্তার কারণে। এবার ব্যাংকের লকারে গয়না অথবা জরুরী কাগজপত্র রাখার নিয়মে পরিবর্তন আনল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI)।

Advertisements

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে ব্যাংকের লকারে গয়না অথবা জরুরী কাগজপত্র রাখার ক্ষেত্রে নিয়মের যে পরিবর্তন আনা হয়েছে তার বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সেই বিজ্ঞপ্তি ইতিমধ্যেই ব্যাংকগুলিকে পাঠানো হয়েছে। এই নির্দেশিকায় কি কি পরিবর্তন আনা হয়েছে সে বিষয়ে প্রত্যেকের জানা দরকার। নির্দেশিকা স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলিকে লকারের চুক্তি রিনিউ করতে হবে। এছাড়াও এই নির্দেশিকাই বলা হয়েছে গ্রাহকরা কোন জিনিস রাখতে পারবেন আর কোন কোন জিনিস রাখতে পারবেন না।

Advertisements

নতুন নিয়ম অনুসারে, ব্যাংকের লকারে জিনিসপত্র রাখার ক্ষেত্রে যারা একেবারেই নতুন গ্রাহক তারা কেবলমাত্র বৈধ কাগজপত্র এবং গয়না রাখতে পারবেন। পরবর্তীতে চুক্তি রিনিউ করার সময় ব্যাংক কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে গ্রাহকরা আর কি কি রাখতে পারবেন। গ্রাহকরা কেবলমাত্র নিজেদের ব্যক্তিগত কাজের জন্যই লকার ব্যবহার করতে পারবেন। লকার হস্তান্তর করা যাবে না।

Advertisements

এই বিষয়ে মডেল চুক্তি তৈরি করেছে ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক অ্যাসোসিয়েশন। সেই অনুযায়ী ব্যাংকগুলিকে চুক্তি করতে হবে গ্রাহকদের সঙ্গে। নতুন লকার নেওয়ার জন্য স্ট্যাম্প পেপারের খরচ দিতে হবে গ্রাহকদের। তবে যখন লকার চুক্তি রিনিউ করা হবে সেই সময় স্ট্যাম্প পেপারের খরচ দেবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

এছাড়াও ব্যাংকের লকারে জিনিসপত্র রাখার ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ জারি হয়েছে। নতুন নিয়মে বলা হয়েছে, গয়না হোক অথবা কাগজপত্র যদি তার বৈধতা না থাকে তাহলে তা কোনভাবেই লকারে রাখা যাবে না। অর্থাৎ এই নিয়ম অনুসারে কোন গ্রাহক লকারে বিদেশী মুদ্রা, অস্ত্র, ওষুধ, বিষাক্ত কোন জিনিসপত্র রাখতে পারবেন না। এর পাশাপাশি লকারের অনেক দায় এড়িয়ে যাওয়ার বিষয়ে ব্যাংকের স্বাধীনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনকি অবৈধভাবে পাসওয়ার্ডের ব্যবহারের ক্ষেত্রেও দায় নিতে হবে গ্রাহকদের।

Advertisements