The girl from the farmer’s house cleared the IIM: রাম্যা হলেন আসলে কৃষক ঘরের মেয়ে। তিনি ছোট থেকেই খুব আর্থিক অভাব-অনটন দেখেছেন। নিজের অভাবকে কখনও তিনি লেখাপড়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা হতে দেননি। ভারতের তামিলনাড়ুর মেয়ে সবাইকে চমকে দিয়ে পেয়ে গেলেন রেকর্ড ব্রেকিং বেতনের প্যাকেজের চাকরি। সম্প্রতিই তামিলনাড়ুর সালেমের বাসিন্দা রাম্যা পেয়েছেন সিঙ্গাপুরের একটি ফার্মে লোভনীয় বেতনের চাকরি। আইআইটি সম্বলপুরের পড়ুয়া রাম্যা (IIM Sambalpur Ramya) ক্যাম্পাসিংয়ের মাধ্যমে তোলারাম গ্রুপ নামক সিঙ্গাপুরের একটি সংস্থায় চাকরি পেয়েছেন। মাইনে শুনলে অবশ্যই আপনার চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। বার্ষিক ৬৪.১৫ লক্ষ টাকার প্যাকেজে চাকরি পেয়েছেন রাম্যা। কর্মসূত্রে রাম্যাকে নাইজেরিয়ায় থাকতে হবে।
সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে যে, আইআইটি সম্বলপুরের (IIM Sambalpur Ramya) তরফে বিভিন্ন সংস্থাকে নিয়ে পড়ুয়াদের জন্য যে ক্যাম্পাসিংয়ের আয়োজন করা হয়েছিল, সেখানেই ইন্টারভিউ দিতে যান রাম্যা। সেখানে ৫-৬ রাউন্ড ইন্টারভিউয়ের পর তোলারাম গ্রুপে চাকরি পায় এই অসাধারণ মেয়েটি। এমনকি সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, রাম্যা সত্যি এই চাকরির যোগ্য কারণ তার অসাধারণ ম্যানেজমেন্ট ও বিশ্লেষণাত্বক দক্ষতার। এইজন্য তাঁকে এই বিপুল বেতনের চাকরি দেওয়া হয়েছে।
এই বিশাল বেতনের চাকরি পাওয়ার পরই খুব খুশি হয়েছেন ২২ বছরের রাম্যা (IIM Sambalpur Ramya)। তিনি বলেছেন যে, তার গ্রামের মহিলারা কখনোই লেখাপড়ার জন্য বাইরে যায় না। কিন্তু আসতে আসতে সেই রীতির অনেক বদল হয়েছে। তিনি আশা রাখেন তার দেখাদেখি গ্রামের বাকি মহিলারাও অনুপ্রাণিত হবে এবং উচ্চশিক্ষার পথে পা বাড়াবে।
সবথেকে আশ্চর্যের কথা হলো সম্বলপুরের ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব ম্যানেজমেন্টে রাম্যা ব্যাচের মধ্যে সবথেকে বেশি প্যাকেজে আন্তর্জাতিক সংস্থায় চাকরি পেয়েছেন। চলতি বছরের মে মাসেই চাকরিসূত্রে নাইজেরিয়ায় যাবেন রাম্যা।
রাম্যা আইআইএম প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পাওয়ার আগে তামিলনাড়ুতেই নিজের লেখাপড়া করে। প্রথমে নামাক্কাল থেকে সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনাও করেছেন রাম্যা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, রাম্যাই তাঁর পরিবারের প্রথম স্নাতক। নিজের এই সাফল্যের যাবতীয় কৃতিত্ব তাঁর মা-বাবাকেই দিয়েছেন তিনি। এক সাধারণ চাষী পরিবারের মেয়ের এই বিশাল প্রাপ্তি দেশের পক্ষে গর্বের বিষয়।