নিজস্ব প্রতিবেদন : রতন টাটা (Ratan Tata) এই নামটুকুই যথেষ্ট। একজন শিল্পপতি হিসাবে তিনি ভারত তথা বিশ্বে যা না নাম করেছেন তার থেকেও বেশি নাম করেছেন একজন সমাজসেবী হিসাবে। রতন টাটা এবং টাটা গোষ্ঠীর উদ্যোগে যেভাবে প্রতিনিয়ত দেশের মানুষকে পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে তা ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। টাটা গোষ্ঠীর দৌলতেই আজও বিনামূল্যে চিকিৎসা পাচ্ছেন দেশের লক্ষ লক্ষ মুমূর্ষু রোগী। তাদের দৌলতেই আজও হাসি ফুটছে হাজার হাজার পরিবারের সদস্যদের মুখে।
রতন টাটা আর পাঁচটা শিল্পপতিদের মতো নন। তিনি এমন একজন শিল্পপতি যিনি নিজের উপার্জনের বড় অংশ মানুষদের জন্য খরচ করে দেন। তিনি এমন এক শিল্পপতি যিনি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি কোটিপতি হওয়ার দৌড়ে না গিয়ে কিভাবে মানুষকে সাহায্য করা যায়, সেই প্রতিযোগিতায় দৌড়ান। এহেন একজন জনদরদী শিল্পপতির মুকুটে এবার লাগলো নতুন পালক।
জনদরদী এবং আদর্শ এমন একজন শিল্পপতিকে এবার বিশেষ সম্মানের সম্মানিত করলো কলকাতার সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি। দিন কয়েক আগেই কলকাতার সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি’র সমাবর্তন অনুষ্ঠান ছিল। সেই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ওই ইউনিভার্সিটির তরফ থেকে জনদরদী শিল্পপতিকে ডক্টরেট সান্মানিক দেওয়া হয়।
ডক্টরেট সাম্মানিক তুলে দেওয়ার কাজটি নিজের হাতে করেন সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি’র উপাচার্য প্রফেসর ধ্রুবজ্যোতি চট্টোপাধ্যায়। সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটির ডক্টরেট সান্মানিক প্রদান জনদরদী শিল্পপতি রতন টাটা ছাড়াও বিখ্যাত সরোদ বাদক ওস্তাদ আমজাদ আলী খান, বন্ধন ব্যাংকের এমডি এবং সিইও চন্দ্রশেখর ঘোষ, লেখক, ঔপন্যাসিক ও গবেষক মণি শঙ্কর মুখার্জি, ভারতীয় পরিসংখ্যান ইনস্টিটিউটের পরিচালক সংঘমিত্রা বন্দোপাধ্যায়, বিশিষ্ট লেখক, অনুবাদক, সাংবাদিক ও সমাজকর্মী মার্টিন ক্যাম্পচেন প্রমুখ ব্যক্তিদের দেওয়া হয়।
জনদরদী শিল্পপতি রতন টাটাকে বছরের বিভিন্ন সময় দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সম্মান দেওয়া হয়ে থাকে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পেয়েছেন ডক্টরেট সাম্মানিক। শুধু তাই নয়, দিন কয়েক আগেই অস্ট্রেলিয়া সরকারের তরফ থেকে রতন টাটাকে তাদের দেশের সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত করা হয়।