মুখ্যমন্ত্রীর সাধের প্রকল্প কন্যাশ্রীতে আজব ঘটনা! পড়ুয়ার প্রাপ্য টাকা নিয়ে সে-কী কাণ্ড

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন জনদরদী প্রকল্প রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্য চালু করেছেন। এই সকল প্রকল্পের মধ্যে বেশ কিছু প্রকল্প রাজ্যের বাসিন্দাদের কাছে ভগবানের আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর সেই রকমই ভগবানের আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়ানো একটি প্রকল্প হল কন্যাশ্রী (Kanyashree Scheme)। রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে রাজ্যের পড়ুয়াদের আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়। মূলত স্কুলছুট ঠেকাতে এবং অল্প বয়সে বিয়ে আটকাতে এই প্রকল্প চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী।

কিন্তু এবার এই প্রকল্পেই আজব এক ঘটনা ঘটে গেল মালদায়। প্রকল্পের প্রাপ্য টাকা নিয়ে সে-কি কাণ্ড মালদার হরদম নগরে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমত শোরগোল বেঁধেছে এলাকায়। আসলে এমন ঘটনা ঘটে যাওয়ার মূলে রয়েছে, হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত হরদমনগরের রিতিকা চৌধুরীর প্রাপ্য কন্যাশ্রীর ২৫ হাজার টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাওয়া।

রিকিতা কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ২৫ হাজার টাকা পেয়েছেন। কিন্তু দেখা যায় সেই ২৫ হাজার টাকা তার অ্যাকাউন্টের পরিবর্তে ঢুকেছে তালসুর গ্রামের বাসিন্দা মাছ ব্যবসায়ী দেবেন মহালদারের অ্যাকাউন্টে। দৌলতপুর হাইস্কুলে ছাত্রী রিকিতা এই বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে। সেই মতো কন্যাশ্রীর টাকা দিয়ে ভবিষ্যতে নার্সিং পড়ার স্বপ্ন রয়েছে তার।

রিকিতার বাবা অনাদি চৌধুরী চাষবাস করে সংসার চালান। চরম অভাবের মধ্যে তাদের সংসার চলার কারণে সরকারি সাহায্যের টাকা নিয়েই মেয়ের স্বপ্নপূরণ করবেন এই আশাতেই এগিয়ে চলছিলেন। কিন্তু প্রাপ্য টাকা নিজেদের অ্যাকাউন্টে না ঢুকে যখন জানতে পারেন তা তালসুর গ্রামের মাছ ব্যবসায়ীর অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে তখন তারা হতাশাগ্রস্ত হন।

রিকিতা এবং তার বাবা কন্যাশ্রীর ২৫ হাজার টাকা তালসুরের মাছ ব্যবসায়ী দেবেন মহালদারের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে জানতে পেরে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। প্রথমে দেবেন মহালদার টাকা ফেরত দেবেন এমনটা জানালেও পরবর্তীতে রীতিমত বেঁকে বসেন। মাছ ব্যবসায়ের এইভাবে টাকা ফেরত দেওয়া থেকে বেঁকে বসায় শেষমেষ রিকিতা হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

কন্যাশ্রী প্রকল্পের পড়ুয়ার টাকা কিভাবে এক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে ঢুকলো তা নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এমনকি প্রশাসনিক আধিকারিকরাও এই বিষয়টি নিয়ে হতবাক। যদিও প্রশাসনের তরফ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা হবে।