‘ফেগলু পেয়েছে নাকি!’ মমতাই ‘এই’ প্রধান শিক্ষকের অনুপ্রেরণা, কী কান্ডটাই না ঘটালেন

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) একসময় ছিলেন রাজ্যের দাপুটে বিরোধীদল নেত্রী। পরবর্তীতে তিনি হন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। পরপর তিনবার তার দল রাজ্যে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে শাসনে রয়েছে। এহেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভক্তের সংখ্যা কম নেই। তবে তাদের মধ্যে এমন এক ভক্তকে খুঁজে পাওয়া গেল যিনি সবাইকে ছাপিয়ে গেলেন।

Advertisements

সবাইকে ছাপিয়ে যাওয়া এই ভক্ত হলেন একজন প্রধান শিক্ষক। ওই প্রধান শিক্ষক হলেন নদীয়ার হোগলবাড়িয়া আদর্শ শিক্ষা নিকেতনের প্রধান শিক্ষক গিরীন্দ্রনাথ দাস (Girindranath Das)। তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় এতটাই অনুপ্রেরিত যে বিভিন্ন সময় তার কর্মকাণ্ডে স্কুলে তৈরি হয় বিতর্ক। তবে এবার তিনি যে কান্ডটা ঘটিয়েছেন তা রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে রাজ্যে।

Advertisements

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় অনুপ্রেরিত ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বারবার বিতর্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন বুক লিস্টে বড় বড় করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ছাপিয়ে অথবা ছাত্রদের সামনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিতে স্যালুট করে। তবে এবার তিনি এতটাই অনুপ্রাণিত হয়েছেন যে নিজের পদবী পর্যন্ত বদলে ফেলেছেন। এবার তিনি নিজের পদবী বদলে দাস থেকে করেছেন বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisements

এই নিয়ে বিতর্ক তৈরি হলে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কি ফেগলু পেয়েছে নাকি! বিপুল ভোটে সে পাশ করেছে। চাট্টিখানি ব্যাপার। মমতা ব্যানার্জি একজন চিপ মিনিস্টার, কবি, সাহিত্যিক এবং শিল্পী। ভালো ছবি আঁকতে পারেন। তিনিতো মহিষী মহিলা। তিনি কিসে কম আছেন, আমার তো মনে হয় না।”

এর পাশাপাশি তিনি স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেন তিনি যা যা করেছেন তা কোন অংশে ভুল করেননি। এমনকি নিজের নামের পদবী দাস থেকে বন্দ্যোপাধ্যায় করাও তিনি কোনভাবেই ভুল মনে করছেন না। পুরোটাই তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে করেছেন।

Advertisements