কেন গেল ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি! শেষমেশ জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : নিয়োগ মামলায় একের পর এক ঐতিহাসিক রায় দিতে দেখা গিয়েছে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে (Justice Abhijit Gangopadhyay)। তবে শুক্রবার তিনি যে রায় দেন সেই রায় ভারতের ইতিহাসে কোনদিন দেওয়া হয়নি। একসঙ্গে ৩৬ হাজার প্রশিক্ষণহীন প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি বাতিলের ঘোষণা করেন তিনি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এই রায়ের পাল্টা হিসাবে পর্ষদ ডিভিশন বেঞ্চে চ্যালেঞ্জ করেছে। এরই মধ্যে সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) এত এত শিক্ষকদের চাকরি হারানোর কারণ জানিয়ে দিলেন।

৩৬ হাজার প্রশিক্ষণহীন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন জানান, “আমাকে অনেকে ফোন করেছেন এবং দেখা করতে চাইছেন। চাকরি বাতিলের কারণে অনেকে ডিপ্রেশনে ভুগছেন। অনেকেই আমাদের সাহায্য চাইছেন। আদালতের বিচারাধীন বিষয় আমি কিছু বলব না। তবে সরকারে অবস্থানের কথা বলব। মামলার কারণে নতুন করে নিয়োগ করা যাচ্ছে না।”

এরই সঙ্গে কেন এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষকের চাকরি বাতিল হল সেই কারণ জানাতে গিয়ে এর পুরো দায় চাপিয়েছেন ডিএ আন্দোলনকারীদের উপর। তিনি দাবি করেছেন, “যারা DA নিয়ে চিৎকার করে, ৩% DA এই বছরও পেয়েছে। আর প্রতিদিন গিয়ে র‍্যালি করছে। তাদের জন্যই ৩৬ হাজার ছেলে মেয়ের চাকরি চলে গেল। দু’লক্ষ মানুষ বুভুক্ষু হয়ে গেল। তাদের কথা তো কেউ মন দিয়ে ভাবেনা।”

তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন মন্তব্যের পাল্টা হিসাবে নাজিয়া ইলাহি খান এক হাতে নিয়ে জানিয়েছেন, “মুখ্যমন্ত্রী একটি মঞ্চে বলেছিলেন দাদা কারো চাকরি খাবেন না। এর মানে তিনি কার চাকরি বাঁচাতে চাইছেন? যারা চিটিংবাজী করে চাকরি পেয়েছে, যারা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছে, যারা চাটুকারি আছেন তাদের ছেলেমেয়েরা চাকরি পেয়েছে। মহামান্য আদালত যার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে আপনি তার পাশে দাঁড়াচ্ছেন।”

অন্যদিকে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আক্রমণের আগাগোড়া হয়ে দাঁড়ান ডিএ আন্দোলনকারীরা। তাদের প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “সরকারি চাকরির জন্য বেতনের পাশাপাশি অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পান কর্মীরা। কিন্তু, সপ্তাহে দু-তিন করে অফিসের সব কাজ বাদ দিয়ে চার পাঁচ-ঘণ্টা করে যদি রাস্তায় মিছিল করে বেড়ান, তাহলে তো মানুষ পরিষেবা পাবে না। এটায় কি সার্ভিস রুল ব্রেক হচ্ছে না! মিছিল করতে কেউ না করেনি, অফিস টাইমের বাইরে করুন।”