নিজস্ব প্রতিবেদন : অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) এবং কুন্তল ঘোষকে (Kuntal Ghosh) বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্ট ২৫ লক্ষ টাকা করে ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা করে। কুন্তল ঘোষের মামলায় বৃহস্পতিবার এমন নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। জরিমানার এই টাকা হাইকোর্টের লিগাল এইড সার্ভিসকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু প্রশ্ন হলো কেন এই বিপুল অংকের টাকা জরিমানা করা হলো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কুন্তল ঘোষকে? আদালতের নির্দেশনামা প্রকাশ্যে না এলেও আইনজীবীদের একাংশ মনে করছেন, আদালতের সময় নষ্ট করার জন্যই এমন জরিমানা করা হয়েছে। এমনকি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেও এই কথাই শোনা গিয়েছে। তবে হাইকোর্টের একক বেঞ্চের এমন নির্দেশের পাল্টা হিসাবে উচ্চতর বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আদালতের রায় নিয়ে পরবর্তী কি সিদ্ধান্ত হবে তার দিকে তাকিয়ে রাজ্যের মানুষ। তবে তার থেকেও রাজ্যের বাসিন্দাদের মধ্যে আরই একটি প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে আর সেই প্রশ্ন হল, বিপুল পরিমাণ এই জরিমানা টাকা কোন কাজে লাগায় আদালত? মানুষের এই কৌতূহলের উত্তর কিন্তু খুবই সোজা আর সেই সোজা উত্তর শুনলে আদালতকে স্যালুট জানাবেন।
আইনজ্ঞ মহলের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, হাইকোর্টের লিগাল এইড সার্ভিস হলো এমন একটি জায়গা যেখান থেকে দুঃস্থ দরিদ্র মানুষদের আইনি সহযোগিতা দেওয়া হয়ে থাকে। আদালতে যেকোনো মামলা লড়াইয়ের জন্য প্রয়োজন হয় টাকা পয়সা। আদালতের বিভিন্ন খরচ ছাড়াও আইনজীবীদের পিছনে রয়েছে খরচ।
রাজ্য এবং দেশের বহু মানুষ রয়েছেন যারা এতটাই নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসেন যে তাদের এই সকল খরচ বহন করা সম্ভবপর হয় না। এই ধরনের মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য জরিমানার টাকা ব্যয় করা হয়। অর্থাৎ যে সকল জরিমানার টাকা হাইকোর্টের লিগাল এইড সার্ভিসে জমা পড়ে সেই সকল টাকা এই সকল দুস্থ-দরিদ্র মানুষদের জন্য খরচ করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে যদি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কুন্তল ঘোষ কে জরিমানার টাকা জমা দিতে হয় তাহলে সেই টাকাও একই খাতে খরচ করা হবে এমনটাই জানা যাচ্ছে।