Most Scariest prison in the world, from where people never return: আপনি কি দেখতে চান এমন কোনো জায়গার ছবি যা নরকের থেকেও ভয়ঙ্কর। এখানকার যাবজ্জীবন কারাবাসের পরিবর্তে বন্দিরা মৃত্যুদণ্ডকেই সাজা হিসাবে বেছে নিতে চাইবে। এ কথা পৃথিবীর যে কোনও জেলই বন্দিদের জন্য সবসময় এক জীবন্ত দুঃস্বপ্ন। কিন্তু, বিশ্বের নানা প্রান্তে এমন কিছু জেল রয়েছে যেখানে জীবন যেন আস্ত নরকের মতোই। এইসব জেলে যা সাজা দেওয়া হয় তা দেখে অনেকেই বলেন এর থেকে মৃত্যুও হয়তো বেশি ভাল। এরমধ্যে অন্যতম হলো রাশিয়ার ব্ল্যাক ডলফিন কারাগার। এই কারাগারকে সত্যি বিশ্বের সবথেকে ভয়ানক জেল (Scariest Prison) হিসাবে মনে করা হয়। কাজাকিস্তানের বর্ডারের পাশে রয়েছে এই উচ্চ নিরাপত্তাবেষ্টনীতে থাকা এই কারাগার (scariest prison)। এটাই কিন্তু রাশিয়ার সবথেকে পুরনো জেল।
এই জেলে রয়েছে একটি কালো ডলফিনের স্ট্যাচু। সেই থেকেই কারাগারটির (Scariest Prison) এই অদ্ভূত নাম হয়েছে। যেসব কয়েদিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ, দেশদ্রোহিতা, খুনের অভিযোগ রয়েছে তাঁদেরকেই মূলত এখানে রাখে। বর্তমানে এখানে প্রায় ৭০০ জন আসামি রয়েছে। যাদের মোট খুনের সংখ্যা শুনলে গা শিউরে উঠবেন প্রায় সাড়ে তিন হাজার। হিসাব অনুযায়ী, এখানে এক একজন কয়েদির বিরুদ্ধে গড়ে ৫টি করে খুনের অভিযোগ রয়েছে। এখানে এক একটি সেলের আয়তন ৫০ স্কোয়ার ফিটের কাছাকাছি। এক একটি সেলে দুজন করে আসামিকে রাখা হয়। এছাড়া রয়েছে তিনটি করে স্টিলের দরজা।
জানেন কি এখানে যখন কয়েদিদের জেলের মধ্যে ঢোকানো হয় বা বের করা হয় সেখানেও রয়েছে এক অদ্ভূত নিয়ম। কোমর বেঁকিয়ে হাতে হাতকড়া পরিয়ে করা হয় এই কাজ। চোখে বেঁধে দেওয়া হয় কালো কাপড়। এর পিছনেও লুকিয়ে আছে অনেক কারণ। পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা, রক্ষীদের উপর কোনওরকম আক্রমণ এড়াতেই এই কাজ করা হয়। এখানের কয়েদিদের কিন্তু দিনে ১৬ ঘণ্টা জেগে থাকতে হয়। এই জেলে (Scariest Prison) না রয়েছে শোয়ার অনুমতি, না রয়েছে বসার অনুমতি, দাঁড়িয়ে থাকতে হবে সারাক্ষণ। একাধিক সূত্রের মাধ্যমে জানা যায়, এমনকী যে খাবার ও জল এখানে দেওয়া হয় তাও অত্যন্ত নিম্নমানের।
তাছাড়া রাশিয়ার পেটাক আইল্যান্ডের কারাগারও রয়েছে এই তালিকায়। এখানে বর্তমানে রয়েছেন ১৯৩ জন বন্দি। প্রত্যেকেটি কয়েদি যাবজ্জীবনের সাজা খাটছেন। বেশিরভাগই এখানে সিরিয়াল কিলার। রাশিয়ার এই বন্দিশালাটিকে (Scariest Prison) অনেকেই আবার একে অভিশপ্ত দ্বীপ হিসাবেও ডেকে থাকেন। দিনে মাত্র ২ ঘণ্টার জন্য বন্দিদের বের করা হয় সেল থেকে।
অন্যদিকে থাইল্যান্ডের ব্যাঙ্কক সেন্ট্রাল জেলের নির্মম শাসনের কথা শুনলে আঁতকে উঠতে পারেন আপনিও। এই জেলটি তৈরি হয় ১৯৭২ সালে। থাইল্যান্ডের সবথেকে কুখ্যাত অপরাধীদের রাখা হয় এই জেলে। একাধিক রিপোর্টে দেখা গিয়েছে যে, এখানে মূল মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের রাখা হয়। পায়ে পরানো হয় লোহার বেড়ি। এখানে আবার রয়েছে ক্লাস স্টিটেম। ধনী কয়েদিদের নিজেদের খাবার কিনে খেতে হয়, গরিবদের খেতে হয় পরিশ্রম করে। দিনে কেবল একবারই খাবার দেওয়া হয়। তাও কেবল এক বাটি স্যুপ আর এক প্লেট ভাত। সত্যি কারাগারের যেরকম পরিবেশ তা কিন্তু বস্তির থেকেও খারাপ। ঠিকভাবে বসার জায়গা পর্যন্ত পাওয়া যায়না। এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং অদ্ভুত নিয়মের জন্য কারাগারের বন্দিরা প্রায় সারাবছরই অসুস্থ থাকে বলে জানা যায়।