This time a five thousand ancient civilization was found in India: গভীর জঙ্গলের মানে হল নানারকম রহস্যের ঘনঘটা। একটি গভীর জঙ্গলে বিভিন্ন রকমের রহস্য লুকিয়ে থাকতে পারে, মানুষ তা বুঝতেও পারবে না। অবশেষে সন্ধান মিলল ৫০০০ বছরের পুরনো সভ্যতার (Ancient Civilizations)। গুজরাটের বিখ্যাত দেবগড় বরিয়া নতুন করে উঠে এলো খবরের খবরটি শুনলে সত্যি হয়তো অবাক হবেন, কিন্তু এই বিখ্যাত দেবগড় বরিয়াতেই ভারতের পাঁচ হাজার পুরনো সভ্যতার সন্ধান মিলেছে।
ভারতের গুজরাট রাজ্যটি নানারকম পর্যটন কেন্দ্রে পরিপূর্ণ। এই রাজ্যটি বরাবরই পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে থাকে। যখনই গুজরাটের নাম ওঠে তখনই দেবগড় বরিয়ার নামও শিরোনামে উঠে আসে। দেবগড় বরিয়ার নাম কিন্তু বরাবরই খবরের শিরোনামে থাকে। পর্যটকদের কাছে ভ্রমণের ক্ষেত্রে এই স্থানটি তালিকার শীর্ষে থাকে। গুজরাটের কোথায় অবস্থিত এই স্থানটি?পূর্ব গুজরাটের পাদদেশে এবং বিখ্যাত পানাম নদীর তীরে অবস্থিত। এই মনোরম দর্শনীয় স্থানটিতে পাওয়া গেছে পাঁচ হাজার বছরের পুরনো সভ্যতার (Ancient Civilizations) সন্ধান।
এই জঙ্গলের বিশেষ আকর্ষণ কি? জঙ্গলটিতে স্বাভাবিকভাবে বাস করে স্লথ ভাল্লুক, কাঁঠাল, হায়েনা, শিয়াল এবং প্যান্থার। সত্যি বলতে সম্প্রতি এই জায়গাটি খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে অন্য কারণে। ৫০০০ হাজার বছরের পুরোনো সভ্যতার (Ancient Civilizations)সন্ধান মিলেছে এখানে। সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে যে, বন বিভাগের একটি দল বহু পুরনো সভ্যতার রক পেইন্টিং এর সন্ধান পেয়েছে এখানে। তবে এর সাথে আরও একটি মজাদার তথ্য সামনে উঠে এসেছে সেটি হল, এই জঙ্গলে যেসব স্লথ ভাল্লুকরা থাকে তারাই বনের প্রত্নতাত্ত্বিক টুকরোগুলি পাহারা দিচ্ছে।
প্রত্নতাত্ত্বিকবিদদের বিভিন্ন রকম তথ্য অনুসারে জানা যায় যে, এই অঞ্চলে মানুষ বসবাস করতে মেসোলিথিক যুগে এবং বহু চিত্রশিল্প আজও বজায় আছে। বিভিন্ন রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ যাকে নষ্ট করতে পারেনি। এখানকার কয়েকটি জায়গা অবশ্য আংশিকভাবে মুছে ফেলা হয়েছে। এমএস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক এবং রক পেইন্টিং বিশেষজ্ঞ ভিএইচ সোনাওয়ানে বলেন যে, ছবিগুলো থেকে এটাই বোঝা যাচ্ছে যে এগুলো বিভিন্ন সময়ের আঁকা ছবি। পাহাড়ের পাথরের গায়ে যে ছবিগুলো আঁকা আছে সেগুলো সাধারণত মেসোলিথিক যুগের।
সূত্রের মাধ্যমে আরও বিস্তারিত তথ্য সামনে এসেছে। বন দফতরের একটি দল জঙ্গলে ট্রেকিং এর জন্য গিয়েছিল, তারাই প্রথম এই পুরনো সভ্যতার সন্ধান পায়। সহকারী বন সংরক্ষক অবশ্য মন্তব্য করেছেন যে, এই পুরনো সভ্যতার সন্ধান পাওয়া গেছে সংরক্ষিত বনাঞ্চলে। যাকে পাহারা দিয়ে আসছে এই বনের স্লথ ভাল্লুকরা। পাহাড়টি সংরক্ষিত বনাঞ্চলে অবস্থিত এবং স্লথ ভাল্লুকের পাহারা দেওয়ার জন্যই এই লেখাগুলো আজও অক্ষয় রয়ে গেছে। সূত্রের মাধ্যমে আরো জানা যায় যে, মিসোলিথিক যুগের তৈরি এই রক পেইন্টিং গুলো আজ সত্যিই বিরল। ছোট উদেপুর জেলা, সাবারকাঁথার ইদার, বনসকান্থার আমিরগড়, ভাবনগর জেলার চামারদি এবং সুরেন্দ্রনগরের থানগড়েও এই ধরনের চিত্রকর্ম আজও রয়ে গেছে লোক চক্ষুর আড়ালে।।