১ ঘণ্টার পথ মাত্র ১৫ মিনিটে! ভারত পাচ্ছে এই প্রথম দীর্ঘতম সামুদ্রিক ব্রিজ

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : যাতায়াতের ক্ষেত্রে ব্রিজ গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা পালন করে থাকে। নদী অথবা অন্য কোন জলাধারের উপর তৈরি হওয়া ব্রিজ সড়কপথে যাতায়াতকে ঘুর পথের বদলে সোজা করে দেয়। এর ফলে দীর্ঘ রাস্তা হয়ে যায় ছোট। ঠিক সেই রকমই এবার ভারত পেতে চলেছে এমন একটি দীর্ঘতম সামুদ্রিক ব্রিজ যা ১ ঘণ্টার পথকে করে দেবে মাত্র ১৫ মিনিট।

Advertisements

দেশের দীর্ঘতম এই সামুদ্রিক ব্রীজ আমজনতার জন্য খুলে দেওয়া এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা। এর আগে এত লম্বা সামুদ্রিক ব্রিজ দেশের কোথাও তৈরি হয়নি। তবে কেন্দ্রের তৎপরতাই সম্প্রীতি এমনই একটি দীর্ঘতম সামুদ্রিক ব্রিজ পেতে চলেছে দেশ। দীর্ঘতম এই সামুদ্রিক ব্রীজ আমজনতার জন্য খুলে দেওয়ার পরই ভারত নতুন করে একটি ইতিহাস রচনা করবে।

Advertisements

দেশের অন্যতম ব্যস্ত এবং গুরুত্বপূর্ণ শহর মুম্বাই। মুম্বাই থেকে নবি মুম্বাই যাওয়ার ক্ষেত্রে আমজনতাকে প্রচুর ঝক্কি সহ্য করতে হয়। তবে এবার এই ঝক্কি এক নিমেষে দূর হয়ে যাবে মুম্বাই থেকে নবি মুম্বাই সংযোগকারী সামুদ্রিক ব্রীজের (Mumbai To Navi Mumbai Bridge) উদ্বোধনের ফলে। এটিই দেশের দীর্ঘতম সামুদ্রিক সেতু হতে চলেছে বলে দাবি করা হচ্ছে মহারাষ্ট্র সরকারের তরফ থেকে।

Advertisements

মুম্বই ট্রান্স-হারবার লিঙ্ক নামে সমুদ্রের উপর তৈরি হওয়া এই ব্রিজটি ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ। ব্রিজটির উপর তৈরি করা হয়েছে ছয়টি লেন। এর ফলে ব্রিজের উপর যানজট সমস্যা থাকবে না বলেই আশা করা হচ্ছে। এছাড়াও দূরত্ব কমে যাবে অনেকটাই। কারণ বর্তমানে মুম্বাই থেকে নবি মুম্বাই যাতায়াত করার ক্ষেত্রে সময় লাগে প্রায় এক ঘন্টা।

মুম্বই ট্রান্স-হারবার লিঙ্ক ব্রিজটি সাধারণ মানুষদের জন্য চালু হলে নবী মুম্বাই ছাড়াও উপকৃত হবেন আরও বেশ কিছু জেলার বাসিন্দারা। দীর্ঘতম এই ব্রিজটি মুম্বই-পুনে এক্সপ্রেসওয়ে এবং মুম্বই ও গোয়া জাতীয় মহাসড়কের সাথেও যুক্ত থাকবে। আর এর ফলে পুনে, বেঙ্গালুরু, গোয়া যাওয়ার ক্ষেত্রেও সময় অনেকটাই কমে যাবে। এছাড়াও নতুন ব্রিজটি মহারাষ্ট্রের রায়গর জেলাকেও সংযুক্ত করবে।

২২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ব্রিজটির ষোল কিলোমিটার রয়েছে সমুদ্রের উপর। এই ব্রিজটি তৈরি করার জন্য প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার মেট্রিক টন স্টিল ব্যবহার করা হয়েছে। যে পরিমাণ স্টিল ব্যবহার করা হয়েছে তা দিয়ে ১৭ টি আইফেল টাওয়ার তৈরি করা যেতে পারে। এর পাশাপাশি ব্যবহার করা হয়েছে ৮৫ হাজার মেট্রিক টন অর্থোট্রপিক স্টিল, ৪৮ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ প্রেস্টিং তার, ৯ লক্ষ ৭৫ হাজার ঘন মিটার কংক্রিট।

Advertisements