নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রতিদিন দেশের হাফ কোটির বেশি মানুষ ট্রেনের (Train) ওপর নির্ভর করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যাতায়াত করে থাকেন। ট্রেনের ব্যাপক এই চাহিদার দিকে তাকিয়ে ভারতীয় রেল (Indian Railways) হয়ে উঠেছে গণপরিবহনের মেরুদন্ড। তবে এর মাঝেও এমন কিছু ঘটনা ঘটে যায় যা সব সময় অনভিপ্রেত।
ঠিক যেমনটা ঘটে গত সপ্তাহের শুক্রবার সন্ধ্যা বেলায়। হাওড়ার শালিমার থেকে ওই দিন চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express) ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানাগা বাজারের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। যে দুর্ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ২৮৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১০০০ এর বেশি যাত্রী। এই রেল দুর্ঘটনা মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছে কান্না। তবে দুর্ঘটনা ঘটলেও ভারতীয় রেল কিন্তু দুর্ঘটনাগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে একের পর এক পদক্ষেপ নিয়ে যাচ্ছে।
দুর্ঘটনার পরই রেলের তরফ থেকে তড়িঘড়ি উদ্ধারকার্য শুরু করা হয় এবং এত বড় দুর্ঘটনায় খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সেই উদ্ধারকার্য শেষ করা হয়। উদ্ধারকার্যে আর বিলম্ব হলে ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেড়ে যেত। আরও একটু দেরী হলে বাড়তে পারতো আরও মৃতের সংখ্যা। এমন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে খুব অল্প সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পাশাপাশি রেলের তরফ থেকে মৃতদের পরিবারের সদস্যদের এবং আহতদের আর্থিক ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করা হয়।
আর্থিক ক্ষতিপূরণের এই ঘোষণার মধ্যেই আবার রেলের তরফ থেকে আরও মানবিক মুখ দেখানো হলো। রেলের মানবিক মুখের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং সেই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভারতীয় রেল জানিয়েছে, ওই ট্রেনে যদি কোন যাত্রী বিনা টিকিটে সফর করছিলেন এবং তিনি আহত অথবা প্রাণ হারিয়েছেন তাহলেও তিনি অথবা তার পরিবারের সদস্যরা আর্থিক সাহায্য পাবে।
দুর্ঘটনার পরপরই রেলের তরফ থেকে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছিল। এছাড়াও গুরুতর আহতদের ২ লক্ষ টাকা এবং অল্পবিস্তর আহতদের ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার ঘোষণা করা হয়। আর্থিক ক্ষতিপূরণের সেই টাকা ইতিমধ্যেই দ্রুততার সঙ্গে রেল দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের সদস্যদের এবং আহতদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনো পর্যন্ত ১৯.২৬ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। মোট ৬৮৮ জনের হাতে এই টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে। যাদের মধ্যে নিহত পরিবার রয়েছে ১৫৩ টি।