The state will get seven new districts, meeting is going on in Nabanna: ঘোষণা করা হয়েছিল প্রায় দশ মাস আগে, কিন্তু সেই ভাবে কোন কাজে এগোয়নি। জেলা ভাগ করা নিয়ে ফের তৎপরতা দেখা গেল নবান্নে, শুরু হলো এই বিষয় নিয়ে বৈঠক। বুধবার নবান্নে যে বৈঠক ডাকা হয়েছিল তাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ রাজ্যের জেলা বাড়ানো (7 new district) নিয়ে আলোচনা করেন। সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে যে, খুব শীঘ্রই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত বছর জুলাই মাসে ঘোষণা করেন যে, এই রাজ্যে আরও সাতটি জেলা বাড়ানো হবে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এ রাজ্যে জেলার সংখ্যা ছিল মোট ১৪ টি। এরপর সেই সংখ্যা বেড়ে হয় ১৯টি। তারপর আরো জেলা ভাঙ্গার পর সেই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ২৩ টি। তবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বাড়ানো হবে জেলার সংখ্যা। গত বছরই সিদ্ধান্ত নেয় আরও সাতটি জেলা (7 new district) বাড়বে রাজ্যে।
জানেন কি অতিরিক্ত সাতটি জেলা (7 new district) কোনগুলি? চটজলদি একবার দেখে নেওয়া যাক- সুন্দরবন, ইছামতী (উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ মহকুমা ও বাগদা নিয়ে), বসিরহাট, রানাঘাট, বিষ্ণুপুর, বহরমপুর এবং কান্দি। মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে বিহারের প্রসঙ্গ টেনে বলেছেন যে, বিহারে জনসংখ্যা পশ্চিমবঙ্গের তুলনায় অনেক কম কিন্তু সেখানে জেলার সংখ্যা হল ৩৮ টি। এর আগেও আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং, ঝাড়গ্রাম এবং বর্ধমান ভেঙে একটি নতুন জেলা তৈরি হয়।
যদি সাতটি নতুন জেলার (7 new district) সৃষ্টি হয় তাহলে সুবিধা হবে সাধারণ মানুষেরই। জেলার সংখ্যা ২৩ থেকে যখন ৩০ হবে মানুষ পরিষেবা পাবে আগের থেকে আরো ভালো। এই মুহূর্তে বড় জেলার বাসিন্দাদের যাবতীয় কাজ করার জন্য জেলার সদর জেলায় আসতে হয়। সুন্দরবনের মতো প্রত্যন্ত এলাকার মানুষজন তাদের প্রয়োজনীয় কাজ মেটাতে আসেন আলিপুরে। আবার ফারাক্কার মানুষজনকে আসতে হয় বহরমপুরে। কিন্তু জেলা ভাগ হলে জেলাশাসকের কার্যালয় কাছাকাছি হবে, ফলে কাজের সুবিধা আরো বৃদ্ধি পাবে। জেলা ভাগ হলে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে।
এছাড়া যদি জেলা ভাগ হয় তাহলে প্রশাসন ব্যবস্থা আরো বেশি দৃঢ় ও মজবুত হবে। এর আগেও পুলিশ জেলা ভেঙেছে যেমন রানাঘাট, কৃষ্ণনগর, সুন্দরবন, বারুইপুর, বসিরহাট পুলিশ জেলা হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থাকে রক্ষার করার জন্য পুলিশ জেলা ভাঙা হয়েছিল। জেলা ছোট হলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রেও অনেক সুবিধা হবে। জেলা যখন ছোট হবে বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজ মনিটরিং করতে অর্থাৎ রাস্তার কাজ, সেতু নির্মাণের কাজের ইত্যাদির উপর নজরদারি চালাতেও সুবিধা হবে। মানুষ খুব সহজেই বিভিন্ন পরিষেবা পাবে। তবে মনে করা হচ্ছে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে অন্যান্য জায়গার তুলনায় জেলাশাসকের কার্যালয় এ নিয়োগ হতে পারে।