নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন সময় নানান ধরনের নোট বাজারে নিয়ে আসে। যেমন বাজারে এসেছিল ২০০০ টাকার নোট, ঠিক সেই রকমই চলছে ৫০০ টাকা, ২০০ টাকা, ১০০ টাকা, ৫০ টাকা, ২০ টাকা, ১০ টাকা ও ৫ টাকার নোট। ভারতীয় বাজারে চলা এই সকল নোট আবার বিভিন্ন সময় জাল (Fake Notes) করা হয়ে থাকে। সেই সকল জাল নোট বাজারে ছড়িয়ে পড়ে আর অজান্তেই মানুষের পকেটে পকেটে ঘুরে বেড়ায়।
সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বাজার থেকে ২০০০ টাকার নোট তুলে নেওয়ার ঘোষণা করেছে। ২০০০ টাকার নোট মোটা অংকের নোট হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই নোটের লেনদেনের সময় ব্যবসায়ী থেকে খরিদ্দার সবাই খুব মনোযোগ সহকারে তা দেখে নেন। অনেকের মধ্যেই ধারণা রয়েছে বাজারে ২০০০ টাকার জাল নোট অনেক ছড়িয়ে পড়েছে আর সেই কারণেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এই নোট তুলে নিচ্ছে।
কিন্তু তা নয়, বাজারে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি জাল নোট রয়েছে ৫০০ টাকার। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার বার্ষিক রিপোর্ট এমনটাই জানাচ্ছে। ২০০০ টাকার নোট বাজার থেকে এখন উঠে যেতে চলেছে, কিন্তু এরই মধ্যে ৫০০ টাকার জাল নোটের সংখ্যা দেশে যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তা রীতিমত ভয় ধরাচ্ছে নাগরিকদের। দেশে ৫০০ টাকার জাল নোটের সংখ্যা শুনলে এই নোট নেওয়ার আগে আপনিও দুবার ভাববেন।
রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে দেশে ৫০০ টাকার জাল নোটের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ১৪.৪ শতাংশ। এক বছরে আগের তুলনায় জাল নোটের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৯১,১১০টি। সেই জায়গায় বর্তমানে দেশের মানুষের কাছে আতঙ্কের কারণ হয়ে ওঠা ২০০০ টাকার জাল নোটের সংখ্যা মাত্র ৯,৮০৬টি। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী ১০, ১০০ এবং ২০০০ টাকার জাল নোটের সংখ্যা কমেছে ১১.৬ শতাংশ।
এদিকে আবার নতুন ডিজাইনের ৫০০ টাকার নোট এবং ২০ টাকার নোট জাল হওয়ার সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ৮.৪ শতাংশ জাল বৃদ্ধি পেয়েছে ২০ টাকার নোটের ক্ষেত্রে, অন্যদিকে ৫০০ টাকার নোটের জাল হওয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ১৪.৪ শতাংশ। যেখানে অন্যান্য নোটের জাল হওয়ার সংখ্যা কমছে সেই জায়গায় ২০ এবং ৫০০ টাকার নোটের জাল সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।