Ants have built a huge city under the ground from roads to houses: পিঁপড়েদের সাম্রাজ্য, তাদের ঘরবাড়ি এসব শুনলেই অবাক লাগে। কিন্তু আসলে এটি সম্পূর্ণ সত্যি ঘটনা। পিঁপড়েদের জীবনী শুনলে আপনি আশ্চর্য না হয়ে থাকতে পারবেন না। শীতের সময় তারা নিজেদের বাসস্থানে থাকতেই পছন্দ করে। শীত পড়ার বহু আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় খাদ্যমজুত করার কাজ। শীতের শেষে যখন আবার গ্রীষ্মকাল আসে তখন তারা নিজেদের বাসস্থান ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসে খাবারের সন্ধানে। কিন্তু পিঁপড়েরা কোথায় থাকে? কেমন দেখতে তাদের সেই সাম্রাজ্য? এইসব অদ্ভুত প্রশ্ন খুব স্বাভাবিকভাবেই ঘোরাফেরা করে মানুষের মনে। তবে এক বিজ্ঞানী সব কৌতূহরে নিরসন ঘটিয়েছেন, মাটির তলায় তিনি আবিষ্কার করেছেন পিঁপড়েদের আস্ত একটি সাম্রাজ্য (Ant Colony)।
পিঁপড়েরা বরাবরই পছন্দ করে দলবদ্ধভাবে থাকতে। এরা কিন্তু মানুষের থেকেও বেশি জোটবদ্ধ প্রাণী। পিঁপড়েরা সব সময় দলবদ্ধভাবে ঘরবাড়ি তৈরি করে এমনকি খাবারের সন্ধান পর্যন্ত করে। এদের জীবন কিন্তু রহস্যে ঢাকা। আর এই রহস্যই উন্মোচন করেছেন এক বিজ্ঞানী। মাটির তলা থেকে তিনি আবিষ্কার করেন পিঁপড়েদের ঘরবাড়িসহ আস্ত সাম্রাজ্য (Ant Colony)। সেই ভিডিও নিমেষে ভাইরাল হয়েছে গোটা সোশ্যাল মিডিয়াতে।
আপনারা হয়তো ভালোভাবেই জানেন যে, পিঁপড়েরা মাটির তলাতে থাকতেই বেশি পছন্দ করে। জানেন কেমন দেখতে এই খুদেদের পাড়া? শুনলে রীতিমতো রোমাঞ্চ লাগে, কিন্তু এর বাস্তব চিত্র একেবারে অন্যরকম। এক বিজ্ঞানী মাটির তলায় পিঁপড়েদের বাসস্থান খুঁজতে গিয়ে মাটি খুঁড়ে বার করে ফেলেছেন আস্ত এক শহর। আর এই শহর হল পিঁপড়েদের (Ant Colony)। সেই শহরে নাকি হাইওয়ে থেকে শুরু করে সাবওয়ে সবই রয়েছে। এমনকি তার সাথে রয়েছে ছোট ছোট গলি। এইসব ছোট ছোট গলি হলো তাদের খাদ্য সঞ্চয় করার জায়গা।
সাধারণত পিঁপড়েরা কখনো আবর্জনার স্তুপে, কখনও আবার চাষের জমির নীচে জালের মতো ছড়িয়ে রয়েছে। এদের শহরে (Ant Colony) রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে খাবার সংগ্রহের গুদামঘরও রয়েছে। এদের শহরের বড় রাস্তার দুই পাশে কিছু দূর অন্তর রয়েছে পিঁপড়েদের বিশ্রামাগার, যা দেখতে খানিকটা গোলাকৃতি আবার কোথাও ডিম্বাকৃতি। এমনটাই জানিয়েছেন সেই বিজ্ঞানী, তার সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে টুইটারে। তবে ভাবলে অবাক লাগে কিভাবে এই বিজ্ঞানী তার গবেষণা চালিয়ে গেছিল?
Over the course of 3 days scientists pumped 10 tons of cement into an abandoned ant hill. After weeks of digging, the colony’s intricate & impressive structure is revealed. This one
[full video, from "Ants! Natures Secret Power": https://t.co/ol5WJZU6A8]pic.twitter.com/G71KrCYafP
— Massimo (@Rainmaker1973) May 31, 2023
ভিডিয়োর মাধ্যমে জানা গেছে যে, মাটির নীচে পিঁপড়েদের যে শহরের সন্ধান পাওয়া গেছে সেটি প্রমাণ করার জন্য প্রথমে ১০ পাউন্ড তরল সিমেন্ট তিন দিন ধরে প্রবেশ করিয়ে সেটাকে জমাট বাঁধা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। এর ফলে মাটির তলার সমস্ত ফোঁপড়া অংশগুলো সিমেন্টে ভরে যায়। তারপর মাটির আবরণ কংক্রিট থেকে সরিয়ে নিলেই বেরিয়ে পড়বে মাটির নীচে পিঁপড়েদের শহর। শুধু আকারেই বড় নয়, পিঁপড়েদের শহর কিন্তু রীতিমতো পরিকল্পনামাফিক তৈরি। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে কমেন্টের ঝড় বয়ে যায়। পিঁপড়েদের বাসস্থানের এই ভিডিও দেখে রীতিমতো আতঙ্কিত গোটা নেট দুনিয়া। একজন ভয় পেয়ে মন্তব্য করেছেন যে, পিঁপড়া হয়তো একদিন মানুষের বাড়িও দখল করে নেবে।