নিজস্ব প্রতিবেদন : দিন কয়েক ধরেই পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে চলছে তাপপ্রবাহ (Heatwave)। পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলির অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। তীব্র গরমে জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা তৈরি হয়েছে বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম সহ একাধিক জেলায়। এমন পরিস্থিতিতে সবাই এখন বর্ষার (Monsoon) আগমনের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন।
হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্ধারিত সময়ের থেকে সাত দিন দেরিতে কেরলে বর্ষার আগমন হয়েছে ৮ জুন। তবে মৌসুমী বায়ু দুর্বল অবস্থায় রয়েছে মূলত আরব সাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের কারণে। এই দুর্বলতা কাটাতে অন্ততপক্ষে দুদিন সময় লাগবে। এর পাশাপাশি জানা গিয়েছে মৌসুমী বায়ু কেরলের পাশাপাশি দিন দুয়েকের মধ্যেই প্রবেশ করে যাবে কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, উত্তর-পূর্ব ভারত, দক্ষিণ-পশ্চিম, মধ্য, উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে।
তবে এই সকল জায়গায় মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করার ক্ষেত্রে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে খুশির খবর দেওয়া হলেও অগ্নিপিন্ডের মতো জ্বলবে বেশ কয়েকটি রাজ্য। সেই সকল রাজ্যগুলি হল বিহার, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা ইত্যাদি। এই সকল রাজ্যে আগামী তিনদিন তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি বজায় থাকবে। অন্যদিকে বর্ষার সক্রিয়তার উপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলছে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়।
আইএমডি (IMD)-র তরফ থেকে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে কেরল, লাক্ষাদ্বীপ, উপকূলীয় এবং দক্ষিণ অভ্যন্তরীণ কর্ণাটক, উত্তর অভ্যন্তরীণ কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশে। তবে সেই বৃষ্টি হালকা থেকে মাঝারি ধরনের হবে বলে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে তামিলনাড়ুতে ৭ জুন থেকে, লাক্ষাদ্বীপে ৯ থেকে ১১ জুন, কর্নাটকে ১০ জুন এবং ১১ জুন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে এসবের মধ্যেই ৮ থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের জন্য জারি হল চরম সতর্কতা। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয় ৮ থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চরম সতর্কতা জারি হয়েছে বিহারের জন্যও। এই সময় তীব্র তাপপ্রবাহ দেখা যাবে পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, বিহারে। পাশাপাশি তীব্র তাপপ্রবাহের মুখোমুখি হবে ওড়িশা। অল্প দিনের জন্য হলেও তাপপ্রবাহ দেখা যাবে তেলঙ্গানা এবং উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যতেও।