Honeymoon spot close to home, get out: সাম্প্রতিক কালে অবসর সময় পেলেই মানুষ ঢু মেরে আসছে দীঘা-পুরী (Digha-Puri) থেকে। ফলস্বরূপ, বর্তমানে সমুদ্র সৈকত হিসেবে দীঘা-পুরী ভ্রমনপ্রেমী মানুষদের কাছে খুবই চেনা জায়গা হয়ে গেছে। তাই অনেকেই হয়তো অচেনা জায়গায় যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। কাছেই রয়েছে সেরকম এক অচেনা জায়গা লালগঞ্জ সমুদ্র সৈকত (Lalganj Sea Beach)। যেখানে টেন্টে বসেই উপভোগ করা যাবে সমুদ্র সৈকত। খরচাও খুব একটা বেশি নয়। আসুন সেই জায়গা সম্পর্কে সবকিছু বিস্তারিত জেনে নিন।
সমুদ্র উপভোগ করার আদর্শ জায়গা এই লালগঞ্জ (Lalganj Sea Beach)। যা কলকাতা থেকে খুব একটা দূরে নয়। ১৩০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করলেই পৌঁছে যাওয়া যায় লালগঞ্জে। মূলত, দক্ষিণ ২৪ পরগণায় অবস্থিত এই লালগঞ্জ। যা বকখালির বেশ কাছেই। অর্থাৎ কেউ বকখালি ঘুরতে গেলে এই সমুদ্র উপভোগ করে আসতেই পারেন।
কিভাবে যাওয়া যাবে? শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে করে যেতে হবে নামখানা। নামখানায় নেমে অটো অথবা টোটো ধরলেই পৌঁছে যাওয়া যাবে গন্তব্যস্থল লালগঞ্জে। বন্ধুবান্ধব বা পরিবার নিয়ে দু-একদিনের জন্য এই গন্তব্যস্থল বেশ উপযুক্ত। সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে গেলে সেখান থেকে বকখালি এবং হেনরি আইল্যান্ডেও ঘুরে আসা যাবে।
কোথায় থাকা হবে? থাকা নিয়ে চিন্তার কিছুই নেই। সমুদ্র সৈকতের কাছেই রয়েছে টেন্টের ব্যবস্থা। দুটি বেডরুম অথবা চারটি বেডরুমের টেন্টের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিটি টেন্টে রয়েছে পর্যটকদের আরামদায়ক ব্যবস্থা। রয়েছে কুলার ও ফ্যানের ব্যবস্থা। টেন্টগুলি সমুদ্রের এতটাই কাছে যে রাত্রিবেলা পর্যটকরা শুনতে পারবেন সমুদ্রের গর্জন।
কি কি রয়েছে এই লালগঞ্জে? লালগঞ্জ সমুদ্র সৈকতে (Lalganj Sea Beach) রয়েছে সাদা বালির সমুদ্র সৈকত, ঢেউয়ের গর্জন, বালির ফাঁক দিয়ে পরিলক্ষিত হয় কাঁকড়ার উঁকিঝুঁকি। সমুদ্র সৈকতের পাশেই রয়েছে ম্যানগ্রোভ অরণ্য। পাশাপাশি রয়েছে ঝাউয়ের জঙ্গলও। তবে এই জায়গায় খুব একটা কোলাহল চোখে পড়ে না। খুবই ফাকা এই সমুদ্র সৈকত। যা পর্যটকদের বেশ আনন্দ দেয়। খরচ-খরচাও খুব বেশি নয়। মাথাপিছু ৫ হাজার টাকার থেকেও কম খরচ হবে এই সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে।