Single account is required to receive money from Krishak Bandhu Scheme : কৃষক বন্ধু প্রকল্প (Krishak Bandhu Scheme) নিয়ে রাজ্যের বড় সিদ্ধান্ত। টাকা পাওয়ার জন্য অবশ্যই লাগবে সিঙ্গেল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। নাহলে এবার থেকে পাওয়া যাবে না প্রাপ্য টাকা। এখনো বিষয়টি নিয়ে কোনরকম নিয়ম জারি না হলেও বিভিন্ন জেলার কৃষি কর্তারা এই নিয়ম মানছেন। এবার থেকে এটি নির্দেশিকা আকারে বের হতে পারে এমনটাই শোনা যাচ্ছে বিভিন্ন জেলার কৃষি দফতর সূত্রে। বিভিন্ন রকম সমস্যা এড়ানোর জন্যই রাজ্য এরকম সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে এই ধরনের নিয়ম থাকলেও কৃষক বন্ধু প্রকল্পে এই নিয়ম নতুন। এই রাজ্যের বিভিন্ন কর্তারা বলেছেন, কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা এখনই টাকা বন্ধ হয়ে যাবে সেরকম ব্যাপার নয়। কিন্তু আস্তে আস্তে সেই পথেই হাঁটবে রাজ্য।
রাজ্যের বিভিন্ন কৃষি কর্তারা বক্তব্য পেশ করেছেন যে, কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা পেতে গেলে সমস্ত উপভোক্তাকে ব্যাংকের সিঙ্গেল কিংবা একক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করতে হবে। নতুন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হয়ে যাওয়ার পরে সমস্ত উপভোক্তা অবশ্যই যেন কৃষি দফতরে যোগাযোগ করেন। এমন অনেকেই আছেন যারা নতুন এই কৃষি বন্ধু প্রকল্পের (Krishak Bandhu Scheme) জন্য নাম নথিভুক্ত করছেন, তাদের ক্ষেত্রেও সিঙ্গেল অ্যাকাউন্ট বাধ্যতামূলক।
রাজ্যের নোডাল অফিসার জানিয়েছেন, সিঙ্গেল অ্যাকাউন্ট করার জন্য এখনও সরকারের পক্ষ থেকে কোনরকম নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। কিন্তু আগামী দিনের সুবিধার জন্য এবং সমস্যা এড়ানোর ক্ষেত্রে সরকার সিঙ্গেল অ্যাকাউন্ট এরই পক্ষপাতি। শুধুমাত্র কিন্তু কৃষক বন্ধু প্রকল্পেই (Krishak Bandhu Scheme) নয় অন্যান্য কিছু সরকারি প্রকল্পেও সিঙ্গেল অ্যাকাউন্ট আবশ্যিক। যাদের আগে থেকে এই প্রকল্পের নাম নথিভুক্ত আছে তাদের এখনই কিছু করার কথা বলা হচ্ছে না। তবে নতুনদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম অবশ্যই পালনীয়।
এই রাজ্যে প্রথম ২০১৯ সালে ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পটি (Krishak Bandhu Scheme) চালু হয়েছিল। সরকারের এই প্রকল্পটি কৃষকদের পক্ষে খুবই লাভজনক। শুধুমাত্র কৃষিকাজের সুবিধার্থেই তারা যে টাকা পাবে তা নয়, মৃত কৃষকের পরিবারও এই প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক অনুদান লাভ করবে। অনেক চাষির নিজস্ব জমির ন্যূনতম নথিপত্র আছে, কোন কারনে তাদের মৃত্যু হলে পরবর্তী সময়ে তাদের পরিবার ওই নথিপত্রের ভিত্তিতে এই প্রকল্পের সুবিধা পাবে।
যখনই এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে হবে অবশ্যই মৃত চাষির নাম, ঠিকানা, আবেদনকারীর নাম, মৃত চাষির সঙ্গে তার সম্পর্ক, জমির নথি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের প্রতিলিপি ইত্যাদি তথ্য কৃষি দফতরে জমা দিতে হবে। রাজ্যের বহু চাষি পরিবার এই প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক অনুদান পেয়েছে। দুয়ারে সরকারের মাধ্যমেও অনেক চাষী এই প্রকল্পে আবেদন করেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের কৃষকরা ২ লাখ টাকা জীবনবীমা লাভ করেছেন। এছাড়াও খরিফ এবং রবি চাষের আগে কৃষকরা দুটি কিস্তিতে দশ হাজার টাকা করে অনুদান লাভ করেছেন।