Some directives from the railway authorities after the accident: ২০২৩ এর ২ রা জুন যেন ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে খচিত থাকবে। যদিও তার কারণটি মোটেই কাঙ্ক্ষিত ছিল না। ২রা জুন গোটা বিশ্ব সাক্ষী থাকলো এক ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনার। করমন্ডল এক্সপ্রেস এবং একটি মালগাড়ির সংঘর্ষে মৃত্যু হল প্রায় ২৪৪ জন মানুষের। এছাড়া আহত হয়েছে হাজারের কাছাকাছি মানুষ। এই বীভৎস রেল দুর্ঘটনার পর রেলবোর্ড আরও বেশি সচেতন হয়ে পড়েছে। তাই রেলের নিরাপত্তার (Safety of rail) জন্য আরও কি কি ব্যবস্থাপনা করা যেতে পারে তারই উদ্যোগ শুরু হল।
রেল কর্তৃপক্ষ পুনরায় একটি গাইডলাইন তৈরি করেন এবং গত শুক্রবারই প্রতিটি জোনের জেনারেল ম্যানেজারকে চিঠির মাধ্যমে কিছু বার্তা পাঠান। চিঠিতে জানানো হয় যে, প্রত্যেকটি জেনারেল ম্যানেজার রেল সম্পর্কিত প্রতিদিন কাজের আপডেট রাখবে। এছাড়া পুনর্নবীকরণের জন্য যে সুরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে তার প্রতি আরও সতর্ক থাকবে এবং রেল নিরাপত্তার (Safety of rail) জন্য প্রত্যেকটি গাইডলাইন তাদেরকে ভালোভাবে মেনে চলতে হবে।
এর একটি অন্যতম প্রধান কারণ হলো করমন্ডল এক্সপ্রেস এর ভয়াবহ দুর্ঘটনা। যদিও এখনো পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গেছে মৃতের সংখ্যা ২৮৮ টি। এছাড়া আহত হয়েছেন ১১০০ জন যাত্রী। তবে বালেশ্বরের স্থানীয় বাসিন্দা তথা দুর্ঘটনার আশে পাশে থাকা লোকজন বলেছেন যে, মৃতের সংখ্যা এর থেকে বেশি হবে। এই ঘটনা যাতে দু’বার না ঘটে সেজন্যই রেল কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তার উপর আরও জোর দিতে চাইছেন। রেল নিরাপত্তার (Safety of rail) জন্য সিগনালেন্স সিস্টেম, ডবল লকিং ইত্যাদির উপর আরও বেশি করে নজর দিচ্ছে।
JEs/SSE-কেও রেল কর্তৃপক্ষের থেকে বিশেষ বার্তা পাঠানো হয়েছে। এই বার্তা অনুযায়ী JEs/SSE কে সর্বদা ব্যানার পতাকা, অ্যালার্ট বোর্ড, TG, TP, সংকেত, সিকিউরিটি বোর্ডসহ প্রতিটি কাজে সর্বদা সচেতন থাকতে হবে। কোন কাজে যাতে কারছুপি না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।
যে যে সাইটগুলিতে রেলের কাজ চলবে সেখানে উপস্থিত থাকতে হবে ফিল্ড আধিকারিকদের। PCE-এর সাথে পরামর্শ করে বোর্ড জোনালগুলিকে কাজের তালিকা প্রস্তুত করে প্রতি সপ্তাহে রেল কর্তৃপক্ষকে পাঠাতে হবে। PHODs/HODs এই কাজে পরামর্শ দেবে JEs/SSE-কে।