নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যে বেঁচে গিয়েছে পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote 2023) দামামা। সম্প্রতি রাজ্য নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করে জানিয়ে দেয়, ৮ জুলাই ভোট গ্রহণ করা হবে। ভোটগ্রহণের পর ১১ জুলাই এই বছরের পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফল প্রকাশ করা হবে। পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পর এখন চলছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কাজ। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া চলবে ১৫ জুন এবং মনোনয়নপত্র তোলা চলবে ২০ জুন পর্যন্ত।
ভোট এলেই যেমন বিভিন্ন জায়গায় রাজনৈতিক নেতাদের আনাগোনা শুরু হয় ঠিক সেই রকমই ভোটে দাঁড়ানোর জন্য বহু মানুষকেই মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেখা যায়। সেই সকল মানুষেরা বিভিন্ন পেশায় যুক্ত থাকলেও তাদের মধ্যেও রাজনৈতিক আঙিনায় পা রেখে নেতা হওয়ার শখ থাকে। তবে এবার নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কারা কারা এই নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না অর্থাৎ ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৮ ধরনের ব্যক্তি কোন ভাবেই ভোটে প্রার্থী হতে পারবেন না অর্থাৎ দাঁড়াতে পারবেন না। ১৮ ধরনের ব্যক্তি বলতে তাদের পেশা বোঝানো হয়েছে। অর্থাৎ ১৮ রকমের পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন যে সকল ব্যক্তিরা তারা কোনভাবেই ভোটে প্রার্থী হিসাবে দাঁড়াতে পারবেন না।
সূত্র মারফৎ যা জানা যাচ্ছে তা হল, রেশন দোকান মালিক, সিভিক ভলান্টিয়ার, হোমগার্ড, জেলা প্রাথমিক স্কুল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, বাংলা সহায়ক কেন্দ্রের কর্মী, শিক্ষাবন্ধু, ইউথ ভলান্টিয়ার, বিএমওএইচের অধীনে কর্মরত চুক্তির ভিত্তিতে নিযুক্ত চিকিৎসকরা ভোটে প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
এর পাশাপাশি ভোটে প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াতে পারবেন না, ১০০ দিনের গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পের অধীস্থ চুক্তির ভিত্তিতে কর্মরত গ্রামীণ রোজগার সেবক, স্কিলড টেকনিক্যাল পার্সন, গ্রামীণ স্তরের উদ্যোগপতিরাও। এই তালিকায় আরও বেশ কয়েকটি পেশার নাম রয়েছে। এই সকল পেশার সঙ্গে যুক্ত থাকার পরিপ্রেক্ষিতে তারা প্রার্থী হতে পারবেন না। তবে প্রার্থী হওয়া যেতে পারে তখনই যখন তিনি পেশা ত্যাগ করবেন।