Ajit Doval salary will surprise you because he gets double of the Prime Minister: রুপালি পর্দায় যখন দর্শকরা শাহরুখ খানের ‘পাঠান’ কিংবা সলমান খানের ‘টাইগার-৩’ চিত্রনাট্যও দেখেন তখন তাদের মধ্যে উৎসাহ ও উন্মাদনা থাকে তুঙ্গে। কিন্তু যাদেরকে ঘিরে আসলে এই সিনেমা তৈরি হয় তারা বেশিরভাগ সময় থাকে পর্দার আড়ালে। তাদের সম্পর্কে কেউ কখনো সঠিকভাবে জানতে পারেনা। কিন্তু দেশের জন্য তারা নিঃস্বার্থভাবে তাদের কাজ চালিয়ে যায়। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের জীবন কাহিনী সবকিছুকে হার মানিয়ে দেবে। তার একের পর এক দুঃসাহসিক ‘অপারেশন’ করা এবং তাতে সাফল্যে এনে দেওয়া গোটা দেশের পক্ষে সত্যিই গর্বের ব্যাপার। শুধু দেশে নয় বিদেশও তিনি সমানভাবে প্রশংসিত। এই অজিত ডোভালের স্যালারি (Ajit Doval Salary) সম্পর্কে কতটা জানেন আপনারা?
জানলে আশ্চর্য হবেন যে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর থেকে দ্বিগুণ বেশি বেতন পান জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। কখনো তিনি ISI এজেন্ট সেজে স্বর্ণমন্দিরে খালিস্তানি জঙ্গির পর্দাফাঁস করছেন আবার কখনও পাকিস্তানে বছরের পর বছর ছদ্মবেশে থেকেছেন। অজিত ডোভালের একের পর এক পদক্ষেপ ভারতের জন্য নিয়ে এসেছে বড় রকম সাফল্য। এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা যাবে তার বেতন সম্পর্কে (Ajit Doval Salary)।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বেতন প্রতি মাসে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। তাহলে বার্ষিক ১৯ লাখ ২০ হাজার টাকা বেতন পান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তার থেকেও অজিত ডোভালের বেতন দ্বিগুণ (Ajit Doval Salary)। ২০১৮ সালের PMO স্টাফদের বেতনের পরিকাঠামো অনুসারে, দেশের এই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার মাসিক বেতন হলো আড়াই লাখ টাকা। তিনি বেতন প্যান লেভেল ১৮ অনুযায়ী। অর্থাৎ অজিত ডোভালের বেসিক স্যালারি ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা। যা দেশের প্রধানমন্ত্রীর থেকেও অনেক বেশি। তিনি যেসব বাড়তি সুবিধা পান সেগুলি হল, হাউজিং অ্যালাওয়েন্স, ট্রেন ও বিমান ভাড়া সহ একাধিক পরিষেবা।
তার কার্যকলাপ কোন সিনেমার হিরোকেও হার মানিয়ে দেবে। তিনি বিগত সাত বছর পাকিস্তানে একজন আন্ডারকভার এজেন্ট হিসেবে নিজের ধর্ম লুকিয়ে মুসলিমদের মতো আচরণ করে জীবন যাপন করেছিলেন। ভারতের বিরুদ্ধে যেসব সন্ত্রাসবাদীরা চক্রান্ত করেছে তাদেরকেও হাতে নাতে পাকড়াও করতে গুপ্তচরের ন্যায় ভূমিকা পালন করছিলেন তিনি। পাকিস্তানের লাহোরে বছরের পর বছর নিজের ক্ষুরধার মস্তিষ্ক এবং উপস্থিত বুদ্ধির দিয়ে এই ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি যতদিন পাকিস্তানে ছিলেন একেবারে মুসলিমদের মতো উর্দু বলতে ও লিখতে পারতেন। এমনকি আরবি ভাষাও তিনি যথেষ্ট দক্ষতার সাথে রপ্ত করেছিলেন। তাই পাকিস্তানের লাহোরে তাকে ভারতীয় আন্ডারকভার এজেন্ট হিসেবে কেউ কখনো সন্দেহ করতে পারেনি। তাই প্রধানমন্ত্রীর থেকেও তার বেতন এত বেশি (Ajit Doval Salary)।
এছাড়া, পঞ্জাবের স্বর্ণমন্দিরে ১৯৯৯ সালে যখন হাজারেরও বেশি শিখ পর্যটককে কব্জা করে রেখেছিল খালিস্তানিরা, সেই সময় ISI-এর একজন টপ এজেন্ট হিসেবে গটগট করে মন্দিরে প্রবেশ করেছিলেন অজিত ডোভাল। ওই ডাকুতে স্বল্প দৈর্ঘ্যের ব্যক্তিটি খালিস্তানি জঙ্গির সমস্ত পরিকল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছিলেন। তিনি অপারেশন ‘ব্ল্যাক থান্ডার’-এ ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছিলেন। তাঁর দক্ষতা ও ক্ষমতার জোরে ধরা পড়ে খালিস্তানি জঙ্গি কমান্ডার সুরজিৎ সিং পেন্টা।