Know about cost and time to visit Titanic by submarine: ১৯১২ সালে আটলান্টিকের গভীরে হারিয়ে গিয়েছিল বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় জাহাজ টাইটানিক। সেই ইতিহাস মানুষের মনে রোমাঞ্চ সৃষ্টি করে। জলের তলায় আজও ঘুমিয়ে রয়েছে টাইটানিক। এই বিখ্যাত টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ ঘুরে দেখার নতুন ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যটকরা চাইলে সাবমেরিনের (Submarine to explore Titanic) মাধ্যমে এই জাহাজে ধ্বংসাবশেষ দেখার জন্য আটলান্টিকের গভীরে যেতে পারবে।
সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে যে, এই সাবমেরিনটি যেতে পারবে সমুদ্রের প্রায় বারো হাজার ফুটেরও বেশি নিচে। তবে পর্যটকদের জন্য কে এই অভিনব ব্যবস্থাটি করেছে? ওশানগেট নামে একটি সংস্থা পর্যটকদের টাইটানিকের ধ্বংসাবশে ঘুরিয়ে দেখানোর ব্যবস্থা করেছে। এই যাত্রায় খরচ কত হতে পারে? আশা করা যায় এটি যথেষ্টই ব্যয়বহুল হবে। এই যাত্রার জন্য ২,৫০,০০০ মার্কিন ডলার (অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় যা ২ কোটি টাকারও বেশি) টিকিট কাটতে হয়। সংস্থাটি সাবমেরিন (Submarine to explore Titanic) এ করে পর্যটকদের ঘুরিয়ে দেখানোর ব্যবস্থা করেছে।
পর্যটকদের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই উন্মাদনা তুঙ্গে। যে টাইটানিকের কথা বইতেই পড়া হয়েছে কিংবা দেখা হয়েছে শুধু টিভির পর্দায়, তার ধ্বংসাবশেষ চোখের সামনে দেখার অনুভূতিটাই আলাদা। খরচ সাপেক্ষ যাত্রা হলেও আশা করা যায় বহু পর্যটক এতে সাড়া দেবে। সাবমেরিনে করে আটলান্টিকের গভীরে টাইটানিক আবিষ্কার (Submarine to explore Titanic) করার উন্মাদনা সত্যি অন্যরকম।
কতদিন জলের তলায় থাকতে পারবে এই সাবমেরিন? কতজন যাত্রী ধরবে এই সাবমেরিনে? এই সব প্রশ্নই মাথায় ঘুরছে আপনাদের। আট দিনের মতো জলের তলায় থাকতে পারবে এই সাবমেরিনটি (Submarine to explore Titanic)। একেক বারে ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত জলের তলায় থাকতে পারবে এই সাবমেরিনটি। সাবমেরিনটিতে অক্সিজেনের কিরকম ব্যবস্থা থাকবে? সাবমেরিনটিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন থাকবে এবং নাবিক সহ পাঁচজন যাত্রী যাত্রা করতে পারবে। যাত্রীদের সুরক্ষার কথা সবসময় চিন্তাভাবনা করা হবে এই সাবমেরিনে।
বর্তমানে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ কোথায় আছে? এটি মার্কিন সীমান্ত থেকে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। বর্তমানে জায়গাটি পরিণত হয়েছে জনপ্রিয় একটি পর্যটনকেন্দ্র হিসাবে। বহু পর্যটক ইতিমধ্যেই এই যাত্রার জন্য আগ্রহ দেখিয়েছে। তার মধ্যে ব্রিটিশ পর্যটক রয়েছে কিছু। অজানা জিনিস জানার ও দেখার এমন সুযোগ কেউ হাতছাড়া করতে চায় না। আশা করা যায়, বহু পর্যটক অবশ্যই এই অভিযান করতে চাইবে।