Private railway station: বিমান বন্দরকে ১০ গোল দেবে ভারতের এই রেল স্টেশন, কেন জানেন!

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

A company built the first private railway station in India: ভারতীয় রেল ফের উঠে আসলো খবরের শিরোনামে। কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বন্দেভারত এক্সপ্রেস ট্রেন চালিয়ে গোটা দেশের মানুষের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। কিন্তু অন্যদিকে গত ২রা জুন উড়িষ্যার বালাসোরের বাহানাগা স্টেশনের কাছে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা রেলব্যবস্থা এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা প্রাণ কেড়েছিল মোট ২৮০ জন মানুষের। কিন্তু রেলব্যবস্থা তার দায়িত্ব থেকে একচুল নড়েননি বরং দায়িত্ব সহকারে পালন করে গেছে সমস্ত রকম কর্তব্য। এই দুর্ঘটনার পরও কোটি কোটি মানুষ ট্রেনে করে তাদের গন্তব্য এগিয়ে চলেছে, কারণ ট্রেন ব্যবস্থা সাধারণ মানুষের কাছে সব থেকে বেশি সাশ্রয়ী। এবার ভারতীয় রেল রেলপথ নির্মাণের ক্ষেত্রে এনেছে নতুন ধরনের চমক (Private railway station)।

Advertisements

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আজকাল রেলপথ ব্যবস্থা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হাতে চলে গেছে। ভারতে পুরোপুরিভাবে রেল ব্যবস্থা বেসরকারিকরণ করা হয়নি, এখনো তা রয়েছে সরকারের হাতে। তবে একটি স্টেশনের বেসরকারিকরণ ইতিমধ্যেই করা হয়ে গেছে। কোথায় হয়েছে এই বেসরকারিকরণ? রেল মন্ত্রকের ইরকন এবং আরএলডিএ ইন্ডিয়ান রেলওয়ে স্টেশন ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (আইআরএসডিসি) গঠন করেছে। এই সংস্থার হাতে মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালে অবস্থিত হাবিবগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনকে পুনর্নির্মাণের জন্য দেওয়া হয়েছে। একই ভারতের প্রথম প্রাইভেট রেলওয়ে স্টেশন (Private railway station)।

Advertisements

এই রেলওয়ে স্টেশনটি জার্মানির হাইডেলবার্গ রেলওয়ে স্টেশনের অনুরুপে তৈরি করা হয়েছে। হাবিবগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনটি পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ফর্মুলায় একটি আন্তর্জাতিক স্তরের রেলওয়ে স্টেশন (Private railway station) হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে খুব শীঘ্রই। ভোপালের হাবিবগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনটিকে বাণিজ্যিক দিক থেকে উন্নত করার জন্য ৪৫ বছরের ইজারা রয়েছে। বেসরকারি কোম্পানির হাতে পুরোপুরি এই স্টেশনটির পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে। স্টেশনটি তৈরি হতে সময় লাগবে মোট আট বছর। এর মধ্যে তিন বছরের নির্মাণ সময় কাল এবং পরের পাঁচ বছরের সময়কাল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

Advertisements

ইন্ডিয়ান রেলওয়ে স্টেশন ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন এই রেলওয়ে স্টেশনটিকে নতুনভাবে সাজানোর জন্য একটি ডেভেলপার কনসোর্টিয়াম নির্বাচন করেছে। এই কনসোর্টিয়ামের প্রধান সদস্য হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে মেসার্স বনসাল কনস্ট্রাকশন ওয়ার্কস প্রাইভেট লিমিটেডকে। এছাড়াও এর সদস্য হিসাবে মেসার্স প্রকাশ অ্যাসফাল্টিংস অ্যান্ড টোল হাইওয়েজ লিমিটেডও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে হাবিবগঞ্জ রেলস্টেশনের পুনঃনির্মাণের কাজ শেষ হলে তা উদ্বোধন করেন। স্টেশনটির নতুন নামকরণ হয় রানী কমলাপতি রেলওয়ে স্টেশন।

অনেকেই হয়তো জানেন না যে, ইন্ডিয়ান রেলওয়ে স্টেশন ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন বর্তমানে আটটি রেলস্টেশনের পুনর্নির্মাণ করছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো চণ্ডীগড়, ভোপালের কাছে হাবিবগঞ্জ, পুনের কাছে শিবাজীনগর, নয়াদিল্লির কাছে বিজওয়াসান, নয়াদিল্লির কাছে আনন্দ বিহার, গুজরাটের সুরাট, পাঞ্জাবের এসএএস নগর (মোহালি) এবং গুজরাটের গান্ধীনগর। বেসরকারী স্টেশনগুলিতে(Private railway station) অত্যাধুনিক রেলস্টেশন এর মত সব রকম সুবিধার বন্দোবস্ত থাকবে। এতে থাকবে রেস্টুরেন্ট, শপিং স্টোর, ক্যাটারিং শপ এবং পার্কিং -এর সুবিধাও। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, মহিলাদের জন্য রয়েছে বিশেষরকম সুবিধা। এই স্টেশনগুলিতে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উপর জোর দেওয়া হয়েছে। বৃষ্টির জল সংগ্রহ করে তাকে কাজে লাগানোর ব্যবস্থাও রয়েছে এই স্টেশনেগুলিতে।

Advertisements