টাইটানিক দেখতে গিয়ে ভয়ঙ্কর পরিণতি! পাকিস্তানের ধনকুবেরের সম্পত্তি শুনলে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যাবেন

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : ১১১ বছর আগে সমুদ্রে ডুবে যাওয়া টাইটানিক (Titanic) দেখতে গিয়ে ভয়ঙ্কর পরিণতির শিকার হয়েছেন বিশ্বের ৫ ধনকুবের। যাদের মধ্যে দুজন বাবা ও ছেলে পাকিস্তানের। কানাডার নিউ সাউথহ্যাম্পটনের সেন্ট জন্স থেকে এই পাঁচজন ধনকুবেরকে নিয়ে টাইটান (Titan) নামের ডুবোজাহাজটি রওনা দিয়েছিল। কিন্তু রওনা দেওয়ার ঘন্টা কয়েক পরই সেই ডুবোজাহাজের সঙ্গে সমস্ত রকম সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়।

Advertisements

টাইটান নামে যে ডুবোজাহাজটি রওনা দিয়েছিল সেই ডুবোজাহাজের ধ্বংসাবশেষ ঠিক টাইটানিক জাহাজের পাশেই পাওয়া গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত। এই ডুবোজাহাজে যে সকল যাত্রীরা ছিলেন তাদের মধ্যে ব্রিটিশ ধনকুবের হামিশ হার্ডিং এবং পাকিস্তানের ধনকুবের শাহজাদা দাউদ (shahzada dawood) ও তার ছেলে সুলেমান উল্লেখযোগ্য। এই ডুবো জাহাজে থাকা প্রত্যেক যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে, যদিও অফিশিয়ালি এখনো পর্যন্ত কোনো ঘোষণা করা হয়নি।

Advertisements

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১২৫০০ ফুট নিচে ডুবে যাওয়ার টাইটানিক দেখতে যাওয়া পাকিস্তানের শাহজাদা দাউদ বিভিন্ন কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। তিনি এনগ্রো কর্পোরেশনের ভাইস চেয়ারম্যান। এছাড়াও দাউদ হারকিউলিস কর্পোরেশনের ডাইরেক্টর, প্রিন্স ট্রাস্টের বোর্ডের সদস্য এবং সেটি ইন্সটিটিউটের বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। এর পাশাপাশি তিনি দাউদ ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি। শাহজাদা দাউদ এসব ছাড়াও ব্রিটিশ যুক্তরাষ্ট্রের (ইউকে) প্রিন্স ট্রাস্ট চ্যারিটির বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। ৪৮ বছর বয়সী শাহজাদা দাউদ পাকিস্তানের অন্যতম একজন ধনপতি।

Advertisements

এই শাহজাদা দাউদ তার ১৯ বছর বয়সী ছেলে সুলেমানকে নিয়ে ধ্বংস হয়ে যাওয়া টাইটানিক দেখতে গিয়েছিলেন। গত রবিবার অর্থাৎ ১৮ জুন তারা রওনা দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর থেকেই আর কোনভাবেই তাদের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করা যায়নি। এই শাহজাদা দাউদ হলেন হোসেন দাউদের ছেলে। ২০০৩ সালে তিনি এনগ্রো কর্পোরেশনের সঙ্গে যুক্ত হন। ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে তিনি এই কর্পোরেশনের ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। এর পাশাপাশি তিনি হারকিউলিসেরও চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করেছেন।

শাহজাদা দাউদ বাকিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি করেন। এছাড়াও ফিলাডেলফিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে টেক্সটাইল-এ এমএসসি করেছিলেন। বর্তমানে তার যে সম্পত্তি রয়েছে তার পরিমাণ সম্পর্কে জানা যাচ্ছে ১৩৬.৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রেখেই তিনি কোথায় নিখোঁজ হয়ে গেলেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে তিনি এবং তার ছেলে সুলেমান আর বেঁচে নেয়। তবে যতক্ষণ না অফিসিয়ালি ঘোষণা হচ্ছে ততক্ষণ তারা নিখোঁজ।

Advertisements