Do not do this at Kolkata Airport; Penalty if done: পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন ও সুস্থ রাখার দায়িত্ব আপামর জনগণের। কিন্তু আদৌ কি পরিবেশ সম্পর্কে কেউ সচেতন? বহু প্রচার সত্ত্বেও কিছু শ্রেণীর মানুষ এমন আছে যারা পরিবেশকে নোংরা করতে পছন্দ করে, কোন ভালো জিনিসকে ভালো রাখতে তারা দেয় না। সরকার ও পুরসভা বারবার প্রচার করেও এক শ্রেণির নাগরিকদের সচেতন করতে পারেনি। কিছু মানুষ এমন আছে যারা যত্রতত্র পানের পিক ও থুথু ফেলে জায়গাটিকে নোংরা করে। সম্প্রতি কলকাতা বিমানবন্দর এ বিষয়ে নিল কঠোর পদক্ষেপ (Kolkata airport)।
অসচেতন নাগরিকদের দিতে হবে এবার থেকে জরিমানা। সেই জরিমানার পরিমাণ কত? যদি কোন ব্যক্তি এয়ারপোর্টের টার্মিন্যাল চত্বর ও তার বাইরে যত্রতত্র থুতু-পানের পিক ফেলে কিংবা ধূমপান করে (Kolkata airport), তাহলে দিতে হবে ৩০০ টাকা জরিমানা। শুধুমাত্র স্মোকিং জোনগুলিতেই স্মোকিং করা যাবে। অনেকেই আছে এই নিয়ম মানছেন না, ফলে কর্তৃপক্ষ কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে। কলকাতা বিমানবন্দর যতই কঠোর ব্যবস্থা নিক না কেন, তবু বহু নাগরিক অপরিষ্কার করতেই ব্যস্ত।
কিন্তু এখনও বহু বিমানবন্দরের পার্কিং জোনগুলিতে গুটখা ও পানের পিক ফেলার নিদর্শন দেখা যায়। বিভিন্ন জায়গায় স্মোকিং জোন আছে তবু যাত্রী ও এয়ারপোর্টের কর্মচারীদের বিমানবন্দরের প্রবেশ ও বেরনোর পথেও ধূমপান করতে দেখা যায়। অবাক করার বিষয় হলো, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ আধিকারিকদেরও ধূমপান করতে দেখা গিয়েছে। বিমানবন্দর চত্বরে এত নিষেধাজ্ঞা সত্বেও মানছে না কেউ (Kolkata airport)।
যদি আপনারা এয়ারপোর্টের পার্কিং লট ঘুরে দেখেন তবে দেখতে পাবেন সেখানের পিলারগুলিতে গুটখা ও পানের পিক ফেলে কিভাবে পরিবেশ নোংরা করা হয়েছে। ভাবলেই অবাক লাগে মানুষ কতটা অসচেতন, বিমানবন্দরের বিভিন্ন অংশে উদ্বৃত্ত খাবার, খাবারের প্যাকেট ও ঠান্ডা পানীয়ের বোতল পর্যন্ত ফেলে রাখে যত্রতত্র। মানুষ বারবার নিয়মের লঙ্ঘন করছে তবুও লঙ্ঘলকারীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে কাউকে দেখা যায়নি। বারণ করা সত্ত্বেও এরকম কাজ করছে বহু মানুষ (Kolkata airport)।
বিমানবন্দরের যাত্রীরা এমনকি কর্মীরা পর্যন্ত এরকম কাজ করছে। জরিমানার মত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া সত্বেও বহু মানুষের কোনো হেলদোল নেই। মানুষ যদি নিজে সচেতন না হয় তবে পরিবেশকে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখা সম্ভব নয়।