নিজস্ব প্রতিবেদন : সপ্তাহান্তে ঘুরতে যাওয়া হোক অথবা অন্য কোন সময়, সমুদ্র সৈকতের কথা মনে পড়লেই সবার প্রথম বাঙ্গালীদের মনে আসে দীঘা (Digha) অথবা মন্দারমনি (Mandarmani)। হিসাব কষলে দেখা যাবে বহু বাঙালিরাই রয়েছেন যারা বারবার এই দুই সমুদ্র সৈকতে অনেক সময় কাটিয়ে এসেছেন। এই দুই সমুদ্র সৈকতে সময় কাটাতে কাটাতে বহু পর্যটক এর কাছেই তা একঘেয়েমি জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবার এই একঘেয়েমি অনায়াসে কাটানোর জন্য পর্যটকদের সামনে নতুন সমুদ্র সৈকত হাতছানি দিচ্ছে।
নতুন যে সমুদ্র সৈকতের কথা বলা হচ্ছে সেই সমুদ্র সৈকত হয়তো দীঘা, মন্দারমনির মতো এতটা জমজমাট নয়। সেখানে হয়তো দিঘার মতো মেরিন ড্রাইভ করার সুযোগ মিলবে না। তবে এই সমুদ্র সৈকত এমন একটি সমুদ্র সৈকত যেখানে নিরিবিলিতে এক থেকে দুই দিন কাটানো যেতে পারে। আর এই নিরিবিলি পরিবেশের জন্যই নতুন এই সমুদ্র সৈকতের টানে পর্যটকদের আগমন ঘটছে।
নতুন যে সমুদ্র সৈকতের কথা বলা হচ্ছে সেটি অন্য কোন রাজ্যে নয়, সেটি পশ্চিমবঙ্গেই রয়েছে। গুগলে যদি ‘ভার্জিন বিচ অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল’ সার্চ করা হয় তাহলে দেখা যাবে উঠে আসছে বাঁকিপুটের নাম। ভার্জিন বিচ কি? অর্থাৎ এর আক্ষরিক অর্থ কি তা অনেকের কাছেই অজানা। তবে তা অনেকের কাছে অজানা হলেও যদি কেউ এই বাঁকিপুট ঘুরতে যান তাহলে এর অর্থ স্পষ্ট হয়ে যাবে। কেননা এখানে নিরিবিলিতে সময় কাটানোর জন্য আপনি অনেক সময় পাবেন।
জনপুট নামের সমুদ্র সৈকতের খুব কাছেই রয়েছে এই বাঁকিপুট বিচটি। এটি পূর্ব মেদিনীপুরে অবস্থিত। বৃষ্টির দিনে, সপ্তাহান্তে বন্ধুবান্ধব, পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে নিয়ে এই নিরিবিলি সমুদ্র সৈকতে বেশ কিছু সময় কাটানো যেতে পারে। এখানে রয়েছে সারিবদ্ধ ঝাউবন, পাখিদের কলতান আর শান্ত সমুদ্র সৈকত। পাশাপাশি এখানে লাল কাঁকড়ার সমাহার পর্যটকদের সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করে। এর পাশাপাশি এখানেই রয়েছে ব্রিটিশ আমলে তৈরি দরিয়াপুরের ৬৭ ফুটের বাতিঘর। সমুদ্র সৈকত থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে বঙ্কিমচন্দ্রের কপালকুণ্ডলা মন্দির। আরও বহু কিছু রয়েছে এই এলাকায়।
বাঁকিপুট সমুদ্র সৈকত যাওয়ার জন্য কলকাতা থেকে ৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরতে হবে। দীঘা, কাঁথি পেরিয়ে যাওয়ার পর কাঁথি থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার দূরে এই সমুদ্র সৈকত। ট্রেনে কেউ যদি যেতে চান তাহলে তাকে কাঁথি রেল স্টেশনে নামতে হবে এবং সেখান থেকে রিক্সা অথবা টোটো চেপে যেতে হবে গন্তব্যে। এখানে রাত্রিবাসের জন্য হোটেল খরচ ১২০০ টাকা থেকে শুরু। এছাড়াও রয়েছে খাওয়া-দাওয়ার বন্দোবস্ত।