নিজস্ব প্রতিবেদন : নিজের কাজে গন্তব্যে যাচ্ছেন। কাজের টেনশন নিয়ে ট্রেনে যাওয়ার সময় হঠাৎ হাজির হিজড়েদের দল। তারপর হাততালি দিয়ে টাকা চাওয়া। টাকা নেই বললেও মুক্তি নেই, নানান ভাবে চলে জোড় জুলুম। এই সকল জোর জুলুম নিয়ে একাধিকবার বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ উঠতে দেখা গিয়েছে, এমনকি সেই সকল ঘটনায় ক্ষোভ উগড়ে দিতেও দেখা গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর এবার এই সকল ঘটনায় লাগাম টানতে নড়েচড়ে বসলো রেল (Indian Railways)।
হিজড়াদের এইভাবে জোড় জুলুম করা অর্থাৎ ট্রেনে তাদের ভিক্ষাবৃত্তিতে এবার লাগাম টানতে শনিবার আলিপুরদুয়ার DRM অফিসে একটি বৈঠক হয়। এই বৈঠক আয়োজন করা হয়েছিল রেল ডিভিশনের অন্তর্গত রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স, জেনারেল রেল পুলিশ, বন বিভাগ ও আবগারি দফতরের বিভিন্ন আধিকারিকদের নিয়ে। এই বৈঠকেই বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কাজ রোধ করার জন্য নানান পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর পাশাপাশি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বৃহন্নলা অর্থাৎ হিজরেদের ট্রেনে যাত্রীদের ওপর জোড় জুলুম ঠেকানোর বিষয়েও। রেল যাত্রীদের অনেকেরই অভিযোগ রয়েছে, ভুয়ো হিজরে সেজে অনেক সময় যাত্রীদের টাকা পয়সা, জিনিসপত্র চুরি করে থাকেন। পাশাপাশি ভিক্ষাবৃত্তির নামে জোর করে টাকা আদায় করার অভিযোগ নতুন নয়। এই ধরনের ঘটনায় বহু যাত্রীকেই সমস্যায় পড়তে হয়।
এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই এবার রেলের তরফ থেকে হিজরেদের ট্রেনে ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা করা হলো। এর পাশাপাশি জানানো হয়েছে হিজড়েদের এবার ট্রেনে উঠতে হলে তাদের কাছে থাকতে হবে বৈধ টিকিট। বৈধ টিকিট না থাকলে তারা কোনোভাবেই ট্রেনে চড়তে পারবেন না এবং বৈধ টিকিট ছাড়া ধরা পড়লে তাদের অন্যান্য যাত্রীদের মতোই জরিমানা দিতে হবে। আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের কোন ট্রেনেই বিনা টিকিটে বৃহন্নলারা চড়তে পারবেন না।
রেলের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন যাত্রীরা। যাত্রীদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, হিজরেরা ট্রেনে চড়ে এমন ভাবে টাকা আদায় করার চেষ্টা চালাই যাতে বহু সময় বহু যাত্রীকে চরম অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হয়। এই ধরনের ঘটনা থেকে বহুদিন থেকেই মুক্তি চাইছিলেন যাত্রীরা আর এবার এমন পদক্ষেপ মুক্তি দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।