আবাস যোজনার বাড়ি বানাতে গিয়ে মিলল পুরাতন সিন্দুক! কী জানলে হেসে গড়াগড়ি দেবেন

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা মানুষদের জন্য সরকারের তরফ থেকে বিভিন্ন প্রকল্প চালু করা হয়ে থাকে। এই সকল প্রকল্পের মধ্যেই রয়েছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (PM Awas yojana)। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলোদেশের প্রতিটি মানুষের মাথার উপর ছাদ তৈরি করা। মূলত আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল, পাকা বাড়ি করার সামর্থ্য নেই, তাদেরই এই প্রকল্পের আওতায় সরকারের তরফ থেকে বাড়ি দেওয়া হয়ে থাকে।

Advertisements

তবে এই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে পাওয়া টাকা দিয়ে বাড়ি করার সময়ে ভাগ্য বদলে গেল এক গৃহকর্তার। ওই গৃহকর্তার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের (Pradhan Mantri Awas Yojana) বাড়ি করার সময় মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে আসে একটি সিন্দুক। সিন্দুক বের হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্রামের বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষজন এসে সেখানে ভিড় জমাতে শুরু করেন। এমনকি এই ঘটনায় খবর দেওয়া হয়, পুলিশকে। পুলিশ এসেও বিষয়টি তদন্ত করেন।

Advertisements

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের বাড়ি করতে গিয়ে মাটির নিচ থেকে এমন সিন্দুক পাওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশে। উত্তরপ্রদেশের ইটাহ জেলার জিনহেনরা গ্রামে ঘটে যাওয়া এমন ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর ছড়িয়ে পড়তে এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা মানুষেরা গুপ্তধন পাওয়া গিয়েছে এমন নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে দেন।

Advertisements

আগেকার দিনে রাজা, জমিদার সহ অন্যান্য ধনী মানুষেরা নিজেদের বিপুল পরিমাণ ধন-সম্পত্তি মাটির নিচে লুকিয়ে রাখতেন। কেননা সেই সময় ব্যাঙ্কের ব্যবহার ছিল না। আবার তাদের ধন-সম্পত্তি যাতে অন্য কারো হাতে না আসে সেই জন্য তারা এই ধরনের কাজ করতেন। সীমতো উত্তরপ্রদেশের এই গ্রামটিতে মাটি খুঁড়ে সিন্দুক পাওয়ার পর অনেকেই মনে করেছিলেন, সিনেমা বা গল্পে যেভাবে পড়ে থাকেন সেই রকমই গুপ্তধন মিলতে পারে।

এই ঘটনার পর এসডিএম এবং তহসিলদার সদরের তরফ থেকে একটি টিম গঠন করা হয়। শেষ পর্যন্ত ওই সিন্দুক খোলার নির্দেশ দেন জেলাশাসক। সিন্দুক খোলার সময় পুরো বিষয়টি ভিডিওগ্রাফি করার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে সিন্দুক খোলা হলে দেখা যায় সেখান থেকে বের হয় স্রেফ এক জোড়া সোনার টপ, একটি রুপোর মঙ্গলসূত্র ও কিছু কাগজপত্র। জানা গিয়েছে, যাদের জমি থেকে এমন সিন্দুক বের হয় তারা আগেকার দিনের জমিদার পরিবারের পূর্বপুরুষ। তারাই কয়েক বছর আগে একটি স্কুল তৈরি করার জন্য ১০০ বিঘা জমি দান করেছিলেন। কিন্তু কালক্রমে তাদের আর্থিক অবস্থা। হিন্দু পাওয়ার পর অনেকেই ভেবেছিলেন তাদের অবস্থা পুনরায় আগের মত স্বচ্ছল হতে পারে। কিন্তু তা আর হলো না।

Advertisements