Know about Rujira’s identity and her relationship with Abhishek: কোনদিনও তাকে প্রকাশ্যের আলোয় সেভাবে আসতে দেখা যায়নি। যাকে নিয়ে এত জল্পনা তুঙ্গে সেই রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর স্ত্রী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যার পিসি শাশুড়ি। সূত্রের মাধ্যমে জানা যায় যে, নিজেকে সবসময় লো-প্রোফাইল রাখতে পছন্দ করেন রুজিরা। রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রথম খবরের শিরোনামে দেখা যায় ২০১৯ সালের বিমানবন্দরে হওয়া এক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর সাথে তার সম্পর্ক সত্যি রোমাঞ্চে ভরা (Abhishek and Rujira love)। তার বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ ওঠে তিনি অতিরিক্ত মাত্রায় সোনা ব্যাগে করে থাইল্যান্ড থেকে কলকাতায় নিয়ে আসছেন। যদিও পরবর্তীকালের শুল্ক বিভাগের এই অভিযোগকে খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
তবে ঘনিষ্ঠ সূত্র মাধ্যমে জানা গেছে যে ভারতের স্থায়ী বাসিন্দা হলেও রুজিরার থাইল্যান্ডের নাগরিকত্ব রয়েছে, সাথে রয়েছে ওভারসিজ সিটিজেন অফ ইন্ডিয়া বা ওসিআই-এর কার্ড। রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় নারুলা পরিবারের মেয়ে যাদের ব্যাঙ্ককে হোটেল ব্যবসা ছিল। তারসাথে আমদান-রফতানি-সহ অলঙ্কার ও সোনার ব্যবসাও রয়েছে। রুজিরার নাম নিয়ে অবশ্য বিভ্রাট রয়েছে, কারোর মতে তার আসল নাম জসমিত আহুজা। বর্তমানে তারা দিল্লির রাজৌরি গার্ডেন এলাকার বাসিন্দা। তাদের একটি জনপ্রিয় পারিবারিক মোবাইলের দোকানের ব্যবসা ছিল এবং পরে রিয়েল এস্টেটের ব্যবসাও করে তারা। দিল্লিতে আইআইপিএম থেকে বিজনেস ম্যানেজমেন্ট পড়তে গিয়ে রুজিরার সঙ্গে আলাপ হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কলেজ থেকে সুইজারল্যান্ডে ট্রেনিংয়ে গিয়ে অভিষেক-রুজিরার সম্পর্ক বন্ধুত্ব থেকে পরিণত হয় গভীর ভালোবাসায়। ২০১২ সালের ফেব্রয়ারি মাসে রাজকীয়ভাবে দিল্লিতে বিয়ে হয়েছিল রুজিরা ও অভিষেকের (Abhishek and Rujira love)। বিয়েতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত না থাকলেও ছিলেন দলের বড় বড় নেতারা।
অভিষেক ও রুজিরার সম্পর্ক (Abhishek and Rujira love) প্রথমে মেনে নিতে পারেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু ভাইপোর জেদে অবশেষে মাথা নত করতে হয় তাকে। দুই পরিবারের কাছে অভিষেক ও রুজিরা খুবই প্রিয়। মেয়েকে দেখার জন্য রাসবিহারীতে একটি বাড়িও কিনেছে রুজিরার পরিবার এবং অভিষেকও তার শ্বশুরবাড়ি ব্যাংককে গেছেন। বর্তমানে এই দম্পতি দুই সন্তানের বাবা মা। কন্যা সন্তানের নাম আজানিয়া এবং পুত্রের নাম আয়ানাশ।
বিতর্ক কখনোই পিছন ছাড়েনি রুজিরার। প্রথমেই তাকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের শোকজের মুখে পড়তে হয়েছিল। ২০২০ সালের তার নাম জড়িয়ে পড়ে কয়লা পাচার কাণ্ডে। সিবিআই দাবি করে যে, লালা অর্থাৎ অনুপ মাঝির কাছ থেকে বেআইনি কয়লা পাচারের বিশাল অর্থ যাচ্ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। এই বেআইনি অর্থ জমা পড়ছে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে বহুবার জেরার সম্মুখীন হতে হয়েছে অভিষেক ও রুজিরাকে। এরপরে প্রবেশ ঘটে ইডির, যারা বেআইনিভাবে অর্থ তচ্ছরূপের অভিযোগ আনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রুজিরার (Abhishek and Rujira love) বিরুদ্ধে।
বারবার জেরা এড়ানোর অপরাধে তার নামে গ্রেফতারের পরোয়ানাও জারি হয়ে গেছে, যদিও তা জামিনযোগ্য। আপনাদের হয়তো জানতে ইচ্ছে করবে কত টাকার মালিক এই রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়? ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে এফিডেভিট জমা করেছিল সেটি অনুসারে, রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩৫.৫৫ লক্ষ টাকা।