নিজস্ব প্রতিবেদন : ভাঙ্গড় দাপানো আইএসএফ-এর (ISF) একমাত্র বিধায়ক হলেন নওশাদ সিদ্দিকী (Nawshad Siddiqui)। এই নওশাদ সিদ্দিকী এখন ভাঙ্গড়ের বাসিন্দাদের একাংশের কাছে ভাইজান হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন সময় নওশাদকে বিভিন্ন কারণে শিরোনামে আসতে দেখা যায়। ঠিক যেমন দিন কয়েক আগে তাকে জেলবন্দী করার ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যজুড়ে, ঠিক সেই রকমই আবার পঞ্চায়েত ভোটের ঘোষণা হতেই শিরোনামে ভাইজান। নওশাদ সিদ্দিকি যখন জেলবন্দী হয়েছিলেন সেই সময় ফিরহাদ হাকিম তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন, নওশাদের অ্যাকাউন্ট থেকে নাকি কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। যার পর থেকেই বহু মানুষের মধ্যে প্রশ্ন কোটি কোটি টাকার লেনদেনের অভিযোগে অভিযুক্ত বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী ঠিক কত টাকার মালিক (Nawshad Siddiqui Net Worth)?
কোটি কোটি টাকার লেনদেনের অভিযোগ আনলেও নওশাদ সিদ্দিকী ঠিক কত টাকার মালিক তা শুনলে আপনিও অবাক হয়ে যাবেন। কেননা ২০২১ সালে নওশাদ সিদ্দিকীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল মাত্র ২ লক্ষ ৯৩ হাজার ৮১০ টাকা। এমনকি ২০২১ সালে তিনি যখন ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সেই সময় তার হাতে নগদ ছিল মাত্র ২৫ হাজার টাকা।
আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর রয়েছে মোট চারটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। বিধায়ক হওয়ার আগে যখন তিনি ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেন ঠিক সেই সময় এমনটাই দাবি করেছিলেন। যে চারটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের উল্লেখ করা হয়েছিল সেগুলির মধ্যে ফুরফুরায় পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে ছিল ৩ হাজার ৪৬৫ টাকা, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কে ছিল ২ লাখ ৬৪ হাজার ৫৩৯ টাকা, ফার্মার্স কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্কে ছিল ৫ হজার ৮০৬ টাকা এবং ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কে ছিল ২০ হাজার টাকা।
এছাড়াও নওশাদ সিদ্দিকীর নিজের নামে কোথাও কোন রকম বাড়িঘর নেই বলেও জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে মূলত ২০২১ সালের হলফনামা থেকে। তবে ওই হলফনামা থেকেই জানা যায় তার নামে জাঙ্গিপাড়ায় রয়েছে দুটি চাষযোগ্য জমি। এছাড়া সেরকমভাবে আর কোথাও তার সম্পত্তির হিসেব পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে নওশাদ সিদ্দিকী তার রোজগারের বিষয়ে হলফনামায় যা দাবী করেছেন তা থেকে জানা যাচ্ছে, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে তিনি রোজগার করেছিলেন ২ লক্ষ ৪৮ হাজার ৫৪০ টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে রোজগার করেছিলেন ৩ লক্ষ ১৫০ টাকা এবং ২০২১-২২ অর্থবর্ষে রোজগার করেছিলেন ১৪ লক্ষ ৯ হাজার ২৬৮ টাকা।
অন্যদিকে বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে যা হলফনামায় উল্লেখ রয়েছে তাতে তিনি এমএ পাস। তিনি এমএ পাস করেছিলেন ২০১৫ সালে আলিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে।