Age never matters in love Sovan and Baisakhi proved it: বর্তমানে সিনেমা জগতের নায়ক-নায়িকার থেকেও শোভন ও বৈশাখী (Sovan and Baisakhi) যেন সবচেয়ে বেশি চর্চার শীর্ষালোকে থাকেন। তাদের নিত্যনতুন ফটোশুট, নিত্য নতুন কার্যকলাপে রীতিমতো তা দেয় মিডিয়ারা। বৈশাখী ব্যানার্জী এর প্রাক্তন স্বামী হলেন মনোজিৎ মন্ডল। আর শোভন চট্টোপাধ্যায়ের প্রাক্তন শ্রী হলেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। দুজনেই পূর্ব বিবাহিত হলেও হঠাৎ করে এই বয়সে এসে দুজন দুজনের প্রেমে পড়েন। আর এভাবেই সকল জনসাধারণের নজর করে শোভন-বৈশাখী জুটি।
প্রথমে বৈশাখীর সঙ্গে শোভনের সম্পর্ক জানতে পেরে তার স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় নানা রকম ভাবের রুখে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও সর্বশেষে ব্যর্থই হন। অপরদিকে বৈশাখী প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় এর জন্য তার স্বামীর ঘর ছাড়েন। যদিও তাদের (Sovan and Baisakhi) সম্পর্কটা প্রথমে খুব একটা মসৃণ ছিল না। তার কারণ বৈশাখীর স্বামী মনোজিৎ মন্ডল তাকে বলেছিলেন যে, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সাথে বহু মহিলার সম্পর্ক রয়েছে এবং সেরকমই একটি সম্পর্ক গড়ে উঠেছে বৈশাখীর সাথেও। তাই খুব বেশিদিন এই সম্পর্কের বাঁধন থাকবে না।
বৈশাখী ব্যানার্জী একটি ইন্টারভিউতে স্বীকার করেছেন যে, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সত্যিই অনেক মেয়ের সঙ্গে পরিচয় ছিল এবং এখনো অল্পস্বল্প আছে। তবে তিনি একমাত্র বৈশাখী ব্যানার্জিকেই ভালবাসেন এবং ভালবাসার কথাটি বলেছেন। বৈশাখীর সাথে আলাপ হওয়ার পর শোভন আর অন্য কোন নারীর দিকে ফিরেও তাকাননি। এমনকি তারা দুজনে মিলে অনেক টানাপোড়ন, অনেক লড়াইয়ের মধ্যে দিয়েই গেছেন। কিন্তু কখনোই দুজন দুজনের হাত ছাড়েননি।
তাদের ব্যক্তিগত সম্পর্কের ছাপ তাদের পেশাগত জীবনেও পড়েছিল। যে রাজনৈতিক দলকে শোভন প্রান দিয়ে ভালোবেসেছেন, সেই রাজনৈতিক দল এবং নিজের পদও ছাড়তে হয়েছিল। সেসময় বৈশাখী নিজেকে দায়ী করেছিলেন শোভনের প্রতি হওয়া এই কড়া সিদ্ধান্তের জন্য। তবে শোভন একটা কথাই বলেছিলেন যে, বৈশাখীর জন্য বা তাদের সম্পর্কের জন্য যদি মেয়রের পদ ছাড়তে হয়, তবে তিনি তা ছাড়তেও রাজি।
অবশেষে তাদের (Sovan and Baisakhi) জীবনে বসন্ত প্রবেশ করে। বৈশাখীর মেয়েকে শোভন নিজের সন্তানের মতই লালন পালন করছেন। দুজনের মধ্যে অটুট বন্ধন গড়ে উঠেছে। বৈশাখী শোভন বাবুর নামেই প্রতিনিয়ত সিঁদুর পড়ছেন এবং শোভন বাবুও তার বৈশাখীকে ছাড়া কিছুই বোঝেন না।