নিজস্ব প্রতিবেদন : সদ্য তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে ৬ জন রাজ্যসভার প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। রাজ্যসভার এই ৬ জন প্রার্থীর তালিকায় ডেরেক ও’ব্রায়েন, দোলা সেন, সুখেন্দু শেখর রায়, সামিরুল ইসলাম, প্রকাশ চিক বড়াইক এবং সাকেত গোখলে। এই তালিকায় যারা রয়েছেন তারা প্রত্যেকেই জনপ্রিয় এক একজন তৃণমূল নেতা। তবে তাদের থেকে কিছুটা হলেও আলাদা প্রকাশ চিক বড়াইক (Prakash Chik Baraik)।
কেননা এই তৃণমূল নেতার রকেটের মতো উত্থান দেখেছে বাংলা। তিনি একসময় নিউল্যান্ডস চা বাগানের একজন সাধারণ কর্মী ছিলেন। আর চা বাগানের সেই সাধারণ কর্মী থেকেই রকেটের মতো উত্থান হয়েছে তার। তার এই উত্থান দেখে অনেকেই হতচকিত। বিশেষ করে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে যখন তার নাম রাজ্যসভার প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে তখন। কিভাবে একজন সাধারণ চা বাগান কর্মী থেকে এত বড় নেতা হয়ে উঠলেন তিনি?
নিউল্যান্ডস চা বাগানের একজন সাধারণ কর্মী থেকে প্রথম প্রকাশ চিক বড়াইক একজন পঞ্চায়েত সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে এটিই ছিল তার প্রথম বড় জয়। এরপর আবার তাকে দেওয়া হয় জেলা সভাপতি দায়িত্ব। আর সেই জেলা সভাপতি থেকে একলাফে এবার তিনি হলেন রাজ্যসভার প্রার্থী। উত্তরবঙ্গের কার্শিয়াং এর শান্তা ছেত্রীর নাম বাদ দিয়ে এবার সুযোগ পেয়েছেন আলিপুরদুয়ারের প্রকাশ চিক বড়াইক।
প্রকাশ চিক বড়াইক একজন আদিবাসী। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন এবং নিজের অদম্য প্রচেষ্টায় একজন স্বাবলম্বী নেতা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল আদিবাসী এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে তেমন কোন অভিযোগ নেই। প্রকাশ চিক বড়াইক রাজ্য রাজনীতিতে তেমন কোনো জনপ্রিয় নেতা না হলেও নিজের এলাকায় তার বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে এবং রয়েছে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি।
প্রকাশ চিক বড়াইক আলিপুরদুয়ারের নিউ ল্যান্ডস চা বাগানের শ্রমিক পরিবারের একজন সদস্য। ২০০৪ সালে তিনি শিলিগুড়ি সূর্য সেন কলেজ থেকে স্নাতক হন। এরপর ওই চা বাগানে তিনি ক্লার্ক হিসাবে নিযুক্ত হন। এখনো তিনি ওই চা বাগানেই কর্মরত অর্থাৎ চা বাগানের একজন কর্মী। ছোট থেকেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি আকৃষ্ট এবং চা বাগানের কর্মী থেকেই ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনি পঞ্চায়েত সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।